মুম্বই: মুম্বইয়ে আজ বিকেলে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের শেষকৃত্য। ভিলে পার্লেতে পবনহংস এরোড্রোমের কাছে হিন্দু শ্মশানঘাটে হবে অন্তিম কাজ। আগেই কুপার হাসপাতালে অভিনেতার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। মুম্বইয়ের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ অভিষেক ত্রিমুখী জানিয়েছেন, বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে চিকিত্সকরা ময়না তদন্তের রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। গলায় ফাঁস লেগে শ্বাসরোধ হয়েই সুশান্তর মৃত্যু হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ।
শেষদিনগুলিতে কেমন ছিলেন সুশান্ত? কেউ কি সে-খবর রাখেনি?
অভিনেতার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু সূত্রে খবর, গত ৫ মাস ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি অবস্থা খারাপ হয়। মৃত্যুর ৫ দিন আগে ফোনে কথাও বলেন বোনের সঙ্গে। সুশান্ত তাঁকে জানান, শরীর ভাল নেই। দাদার কথা শুনে বোন আসেন সুশান্তর বান্দ্রার বাড়িতে। দু’দিন সেখানেই থাকেন তিনি।
ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসিক অবসাদের ওষুধ খাওয়াও বন্ধ করে দেন সুশান্ত। ইদানীং ব্যবহারেও পরিবর্তন হয়েছিল তাঁর। সুশান্তর বন্ধু ও রাঁধুনির থেকে এমন অনেক তথ্য মিলছে।
আরও জানা গেছে, নভেম্বরে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সুশান্তর। যাঁর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, তাঁর সঙ্গে ঝগড়া চলছিল। লকডাউনের সময় বান্ধবী ছিলেন সুশান্তর কাছে। পরে তিনি অন্যত্র চলে যান। জানা গেছে, বান্ধবী সুশান্তর সঙ্গে কথা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তাঁকে সুশান্ত ফোন করলেও উত্তর দিচ্ছিলেন না।
মৃত্যুর আগে গভীর রাতে বন্ধু মহেশ শেট্টিকে ফোনও করেন সুশান্ত। সুশান্ত ও তাঁর বান্ধবীর কমন ফ্রেন্ড ছিলেন মহেশ।ফোন করলেও তা তোলেননি বন্ধু মহেশ।
বেলা ১২ টা নাগাদ ফোন করেন মহেশ। ফোন তোলেননি সুশান্ত রাজপুত, ততক্ষণে তিনি মৃত।
সুশান্তর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও নজর রেখেছে মুম্বই পুলিশ। আর্থিক দিক থেকে বড় কোনও ক্ষতি হয়নি সুশান্তর। মৃত্যুর পিছনে মাদকের উপস্থিতি নেই। ময়নাতদন্তর প্রাথমিক রিপোর্টে এমনই উল্লেখ।