জীবনে যে কোনও সময়, যে কোনও মানুষের জীবনে ঘনিয়ে আসতে পারে অবসাদের মেঘ। ডিপ্রেশনের কারণ যদিও একেকজনের একেকরকম। কেরিয়ার, প্রেম বা পরিবার, ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে অনেক। হয়ত সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝেও অনেককিছুই মনের মধ্যে ঘুরতে থাকে, যা কখনও কাউকে বলা যায় না। কারও সঙ্গে ভাগ করে নিতে লজ্জা হয়। মনের মধ্যে আসতে আসতে জাঁকিয়ে বসে এই চোরা অসুখ। এইভাবে চেপে রাখতে রাখতে ডিপ্রেশন একদিন মানসিক অসুখের চেহারা নেয়। ঠিক সময় সচেতন না হলে, চিকিৎসা না করালে অবসাদ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। ক্রমে মারণ রোগের চেহারাও নিতে পারে ডিপ্রেশন।
কেন হয় ডিপ্রেশন? (Why Is Depression)
এটি এমন এক অসুখ, যা মানুষকে কিছুতেই খুশি হতে দেয় না। জীবনে বড় কোনও দুর্ঘটনা বা ছোট কোনও ধাক্কা, ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে অনেককিছুই। তাই ঠিক কখন কোন ঘটনা মানুষকে অবসাদের খাদে ঠেলে দেবে, তা বোঝা কঠিন। এই গহ্বর থেকে সহজে বেরনো কঠিন। প্রয়োজন সঠিক চিকিৎসার।
অবসাদে থাকলে মানুষ নিজের সঙ্গে কথা বলে। কখনও আবার ছোটখাটো ঘটনাতেই কেঁদে ফেলে। বারবার মৃত্যুর কথা বলে। অথবা হঠাৎ করেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে।
ডিপ্রেশনের লক্ষণগুলি হল (Symptoms Of Depression) -
- বৈরাগ্যভাব
- একাকীত্ব
- প্রচণ্ড রাগ
- মনে পড়ে না, শেষ কবে খুশি হয়েছিলেন।
- স্নান, খাওয়ার মতো রোজকার কাজ করতেও অনীহা হয়।
- নিজেকে ঘৃণা করা, সেই থেকে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার ভাবনা।
- সারাদিন মাথা যন্ত্রণা করা
ডিপ্রেশনের কারণ (Causes Of Depression)
- মা-বাবার আশা অনুযায়ী কাজ করতে না পারা।
- পড়াশোনা বা রোজগার সংক্রান্ত চিন্তা
- পারিবারিক সমস্যা
- সম্পর্কজনিত সমস্যা
- হরমোন ক্ষরণ রদবদল
- আশা অনুসারে সাফল্য না পাওয়া।
- দেনার দায়ে ডুবে যাওয়া
অবসাদের চিকিৎসা কী (What Is The Treatment For Depression)
যদি আপনার মনে হয়, উপরে উল্লিখিত লক্ষণগুলি আপনার মধ্যে আছে, তাহলে দেরি না করে মনরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখবেন কীভাবে -
- পর্যাপ্ত ঘুম
- মন ভাল রাখতে রোদ্দুরে একটু হাঁটুন।
- মানুষের সঙ্গে কথা বলুন।
- সারাদিনের কাজ ভাগ করে নিন।