নয়াদিল্লি: দেশে মোট করোনা আক্রান্তের ৩০ শতাংশের সঙ্গে তবলিঘি জামাতের যোগ রয়েছে। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
মার্চের প্রথম দিকে দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাজে হওয়া তবলিঘি জামাত সম্মেলন বর্তমানে দেশে করোনা-সংক্রমণের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। দেশে মোট করোনা-আক্রান্তদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের সঙ্গে এই তবলিঘি জামাতের যোগসূত্র মিলেছে। যাঁরা এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিল-- সেই সদস্যরা, তাদের পরিবারের সদস্য এবং সদস্যদের সংস্পর্শে যারা এসেছিল-- একের পর এক কোভিড-১৯ পজিটিভ হচ্ছে। এর ফলে, দেশে হু-হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব লব অগ্রবাল বলেন, দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার ৩৭৮(শনিবারের প্রকাশিত কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী)। এর মধ্যে, ৪,২৯১ জন বা ৩০ শতাংশের সঙ্গে দিল্লির নিজামুদ্দিনের তবলিঘি জামাতের যোগ রয়েছে। দিল্লিতে, মোট আক্রান্ত ১,৭০৭। এর মধ্যে ৬৩ শতাংশের সঙ্গে তবলিঘির যোগ রয়েছে।
লব অগ্রবাল বলেন, যে ৪,২৯১ জনের সঙ্গে নিজামউদ্দিন মারকাজের যোগ রয়েছে, তারা দেশের ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যওয়াড়ি আক্রান্তদের মধ্যে শতাংশের হারে নিজামউদ্দিন যোগ বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। যেমন, তামিলনাড়ুর ৮৪ শতাংশ আক্রান্তের সঙ্গে মারকাজ যোগ রয়েছে। এছাড়া, দিল্লির ৬৩ শতাংশ, তেলঙ্গানার ৭৯ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশের ৫৯ শতাংশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ৬১ শতাংশের সঙ্গেও নিজামউদ্দিন মারকাজের যোগ রয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিজামুদ্দিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া প্রায় ৪০ হাজারকে ইতিমধ্যেই কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে। দেশে মোট আক্রান্তদের মধ্যে ১,৯৯১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মারা গিয়েছেন ৪৮০ জন। সচিব জানান, কোভিড-১৯ সংক্রমণের মৃত্যর হার ৩.৩ শতাংশ। অগ্রবাল জানান, যদি লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব সঠিকভাবে পালন না হয়, তাহলে গোটা দেশে এর প্রভাব পড়বে। গত ২৪-ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৯৯১ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৪৩ জন।