তিরুঅনন্তপুরম: সোমবার থেকে লকডাউন কিছুটা শিথিল হচ্ছে কেরলে। রাজ্যের ১৪টি জেলার মধ্যে অন্তত সাতটিতে খুলছে কিছু রেস্তোরাঁ। পাশাপাশি কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে দিল্লির মতো অড-ইভেন নম্বরের ক্রম রেখে গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।


দেশজুড়ে ২১ দিনের প্রথম দফার লকডাউনের শেষেই কেন্দ্রকে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল কেরল সরকার। আবেদন করা হয়েছিল গোটা রাজ্যকে যেন সংক্রমণের নিরিখে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। রেড, অরেঞ্জ এ, অরেঞ্জ বি ও গ্রিন জোন। তারপর সেই চারটি জোনের তিনটি থেকে ধাপে ধাপে লকডাউন শিথিল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।  যদিও রেড জোনে কোনওরকম শিথিলতা দেওয়া হবে না বলেও কেন্দ্রকে জানিয়েছিল কেরল প্রশাসন।

শুক্রবার কেরলের সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। গত সাতদিনে রাজ্যে মাত্র একজনের নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সুস্থ হয়ে ওঠার হারও বাড়ছে দ্রুত।

সোমবার থেকে কোট্টায়াম ও ইডুক্কি – এই দুই জেলার জীবনযাত্রা অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারে। দুই জেলাকেই গ্রিন জোন ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ, দুই জেলাতেই এখন কোনও করোনা আক্রান্ত নেই। তিরুঅনন্তপুরম, আলাপ্পুঝা, ত্রিশূর, পলক্কড় ও ওয়েনাডকে অরেঞ্জ বি জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এই জেলাগুলোয় লকডাউন কিছুটা করে শিথিল করা হবে।

কোট্টায়াম ও ইডুক্কিতে রেস্তোরাঁ সারাদিনই খোলা থাকবে। অরেঞ্জ বি জোন জেলাগুলোয় সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে রেস্তোরাঁ। পাশাপাশি সোম, বুধ ও শুক্রবার অড নম্বরপ্লেট-যুক্ত গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।  ইভেন নম্বরপ্লেট-যুক্ত ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার। চারচাকার মোটরগাড়িতে চালক ছাড়া পিছনের সিটে আর দুজন যাত্রীকে বসার অনুমতি দেওয়া হবে। পরিবার পিছু একটি করো মোটরবাইকে ছাড় দেওয়া হবে।

এর্নাকুলাম, কোল্লামের মতো কয়েকটি জেলাকে অরেঞ্জ এ জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই জেলাগুলোতে ২৪ এপ্রিলের আগে রেস্তোরাঁ খোলা হবে না। পাশাপাশি যেসব জেলায় লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে, সেখানে ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বারদের কাজ করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।

কেরলের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করেই গোটা পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।