ঘটনার সূত্রপাত একটি প্রকাশনা বাজার গরম করার উদ্দেশ্যে প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটারের ২০১৯-এ প্রকাশিত বইয়ের কিছু অংশ সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ায় যাতে তিনি গম্ভীরকে কটাক্ষ, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেছেন। তাই প্রত্যাঘাত করলেন বর্তমানে বিজেপি সাংসদ গম্ভীর।
আফ্রিদি ভাইরাল হওয়া অংশে লিখেছেন, (গৌতম গম্ভীর) আর ওর অ্যাটিটিউডের সমস্যা। ও এমন একজন, যার ব্যক্তিত্ব নেই, ক্রিকেটের মতো বিরাট মঞ্চে ও কোনও চরিত্রই নয়। কোনও বড় রেকর্ড নেই, কিন্তু বিরাট হামবড়া ভাব। নিজেকে ও ডন ব্র্যাডম্যান আর জেমস বন্ডের সংমিশ্রণ বলে ভাবে।
শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া এ নিয়ে উত্তাল হতেই পাল্টা আসরে নেমে গম্ভীর জবাব দেন, এমন কেউ যে নিজের বয়সটাই মনে রাখতে পারে না, সে আমার রেকর্ড মনে রাখবে! ঠিক আছে আফ্রিদি, মনে করিয়ে দিই একটা তথ্য। ২০০৭ এর টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনাল। ভারত বনাম পাকিস্তান। গম্ভীর ৫৪ বলে ৭৫ আর আফ্রিদি ১ বলে শূন্য। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, কাপটা আমরা জিতেছিলাম। আর হ্যাঁ, মিথ্যেবাদী, বিশ্বাসঘাতক, সুবিধেবাদীদের আমি দেখতে পারি না, ঠিকই।
শুধু পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাই নন, ভারতীয় ক্রিকেটারদের সম্পর্কেও স্পষ্ট মনোভাব প্রকাশে দ্বিধাহীন, অকপট গম্ভীর। তাই, যুবরাজ সিংহ সম্প্রতি যখন বললেন, এখনকার ভারতীয় ক্রিকেট টিমে কোনও রোল মডেল নেই, তাঁর মত সমর্থন করেন গম্ভীর। যুবরাজ বর্তমান ভারতীয় দলে রোল মডেলের অভাব আছে বলে দাবি করলে গম্ভীর বলেন, যুবরাজের মত সমর্থন করি। ২০০০ এর দশকে দ্রাবিড়, কুম্বলে, লক্ষ্মণ, সচিন, সৌরভরা ছিল দলটাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। খারাপ সময় যখন চলে, তখন টিমে পাশে সিনিয়র প্লেয়ারদের থাকা জরুরি যারা নতুনদের সাহায্য করবে। আমার মনে হয় না,ভারতীয় শিবিরে যথেষ্ট সংখ্যায় সিনিয়র ক্রিকেটাররা আছে যারা নিজস্ব স্বার্থ দূরে রেখে তরুণদের পাশে দাঁড়াবে।