গুয়াহাটি: জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) নিয়ে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তিনি বলেছেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। জন্মও হয় আমার সময়েই। আমি সরে যাওয়ার পর বিজেপি আমার সন্তানের ঠিকমতো যত্ন নিতে পারেনি। এর ফলেই ত্রুটিযুক্ত এনআরসি খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষের নাম নেই।’


বিজেপি-র সমালোচনা করে গগৈ আরও বলেছেন, ‘বিজেপি সবসময়ই বিদেশিদের নিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে। ওরা কোনওদিনই সমস্যার সমাধান করতে আগ্রহী না। প্রতিবারই নির্বাচনের আগে অনুপ্রবেশের ইস্যু মাথাচাড়া দেয়। তারপর আবার ভোট না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও আলোচনা হয় না। ২০১৬ সালে পেশ করা নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল থেকেই স্পষ্ট, বিজেপি এই সমস্যার সমাধান করতে চায় না। এই বিলের প্রাথমিক লক্ষ্য আরও বিদেশিকে ভারতে নিয়ে আসা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিদেশিদের তাড়াবেন না। তিনি আরও বিদেশি আনতে চান। বিজেপি ও তাদের জোটসঙ্গী অপগ এই ইস্যুটি জিইয়ে রাখতে চায়। ত্রুটিহীন ও সংশোধিত এনআরসি-র গুরুত্ব অস্বীকার করা যাবে না। কারণ, ভবিষ্যতে যাঁদের বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে তাঁরা রাষ্ট্রহীন বা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে যাবেন। তাঁদের কোনও অধিকার থাকবে না।’

২০০১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত অসমের মুখ্যমন্ত্রী থাকা গগৈ এনআরসি নিয়ে বিজেপি-র অভিযোগ খারিজ করে বলেছেন, ‘আমাদের মানুষকে বলতে হবে, সবক্ষেত্রে ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে এটা বিজেপি-র নির্বাচনী কৌশল। বিজেপি সবসময় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছে। কিন্তু এনআরসি আপডেট করার মাধ্যমে বিদেশিদের চিহ্নিত করা এবং প্রকৃত ভারতীয় কারা সেটা নির্ধারণের প্রক্রিয়া আমি চালু করেছিলাম। বিজেপি সবসময় ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করতে চায়। বিদেশিদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রেও সেটা করছে। আমরা এরকম সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে রাজনীতি করি না।’