তামিলনাড়ুর পেরাম্বালুর জেলার এলাম্বালুর গভর্নমেন্ট হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষিকা ভৈরবী। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমরা বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি করার বিষয়ে রাজি করাই। আমি বেশ কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই, সেই পরিবারগুলি দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করছে। তাঁদের জীবনযাপনের ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধাও নেই। সেটা দেখে আমার খুব খারাপ লাগে। লকডাউনের জেরে আমি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পড়াচ্ছি। কিন্তু অনেকেরই স্মার্টফোন নেই। এমনকী, ফোন রিচার্জ করারও টাকা নেই। সেই কারণেই আমি তাদের স্মার্টফোন কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। যতদিন না স্কুল খুলছে, ততদিন অনলাইন ক্লাসের জন্য ফোন রিচার্জ করিয়ে দেব বলেছি। আমার মেয়ের কথাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি অনলাইন ক্লাস করানোর জন্য বাড়িতে ব্ল্যাকবোর্ডেরও ব্যবস্থা করেছি।’
প্রিয়দর্শিনী নামে এক পড়ুয়া জানিয়েছে, ‘যখন ভৈরবী ম্যাডাম আমাদের বাড়িতে আসেন, বাবা-মা অনলাইন ক্লাসের কথা জানতে চান। ম্যাডাম আমাদের স্কুলে যেতে বলেন। আমরা স্কুলে যাওয়ার পর তিনি অবাক করে দেন। স্মার্টফোন উপহার পেয়ে আমি খুব খুশি। বাড়িতে আর কারও স্মার্টফোন নেই। আমি পড়ার জন্য এই ফোন ব্যবহার করব।’