পটনা: বিয়ের ৬ মাস এখনও হয়নি। এরই মধ্যে পটনার পরিবার আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন জানালেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ। স্ত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরেই তাঁর মতানৈক্য চলছিল বলে খবর। পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতেই তাঁরা বিচ্ছেদের আবেদন জানিয়েছেন।


এ বছরের ১২ মে বিয়ে হয় তেজপ্রতাপ ও ঐশ্বর্যর। বিয়ের পাঁচদিন পরেই তেজপ্রতাপ বলেন, তিনি চান না স্ত্রী রাজনীতিতে যোগ দিন। কিন্তু মাসখানেকের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়। শোনা যায়, লোকসভা নির্বাচনে শরণ থেকে প্রার্থী হতে পারেন ঐশ্বর্য। তাঁর ঠাকুর্দা দারোগা প্রসাদ রাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বাবা চন্দ্রিকা রাই প্রাক্তন মন্ত্রী এবং এখনও আরজেডি বিধায়ক। ফলে তেজপ্রতাপের স্ত্রীর কাছে রাজনীতি নতুন বিষয় নয়। কিন্তু লালুপ্রসাদের স্ত্রী রাবড়ি দেবীর বৌমার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে আপত্তির কথা জানা যায়। এর জেরেই তেজপ্রতাপের সঙ্গে ঐশ্বর্যর মতানৈক্য কি না, সেটা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত লালু এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। তাঁর পরিবারেও সঙ্কট তৈরি হয়েছে। তেজপ্রতাপের সঙ্গে শুধু স্ত্রী-ই না, ভাই তেজস্বীরও সমস্যার কথা জানা গিয়েছে। তেজপ্রতাপ প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, দলে তাঁকে কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছে। দুই ছেলের মতবিরোধ মেটানোর চেষ্টা করছেন লালু। এরই মধ্যে তাঁর বড় ছেলের বিবাহ বিচ্ছেদ হতে চলেছে।