পটনা: লালুপ্রসাদ যাদব জেলে। এদিকে তুঙ্গে উঠেছে তাঁর পরিবারের ঝগড়া। গতকাল মাঝরাতে পটনায় লালু ও রাবড়ি দেবীর বাড়ির দরজা ধাক্কালেন তাঁদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপের ছেলে ঐশ্বর্যা রাই। শাশুড়ি রাবড়ির অবশ্য হেলদোল হল না, দরজা খুললেন না তিনি।


গতকাল রাতে পটনায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। এর মধ্যে ঐশ্বর্যা তাঁর বাবা চন্দ্রিকা রাইকে ফোন করে ডেকে পাঠান। বাবা এসে পৌঁছলে ঐশ্বর্যা তাঁকে আনার জন্য বাড়ির বাইরে যান। আর তখনই নিরাপত্তারক্ষীরা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। ঐশ্বর্যা বৃষ্টির মধ্যে দরজা ধাক্কাতে থাকেন কিন্তু খোলা হয়নি। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে হাজির হন চন্দ্রিকা রাইয়ের লোকজন। চন্দ্রিকা, তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা ও ঐশ্বর্যা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ির বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে যান। শোনা গিয়েছে, রাবড়ির সঙ্গে চন্দ্রিকার দেখা করানোর চেষ্টা চলছে।

গত বছর মে মাসে তেজপ্রতাপের সঙ্গে ঐশ্বর্যার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের এক মাসের মধ্যেই ঝামেলা বাধে স্বামী-স্ত্রীর। তেজপ্রতাপ ডিভোর্সের মামলাও করেন, সেই মামলা চলছে ফ্যামিলি কোর্টে। বিচারক দুজনের মধ্যে বোঝাপড়ার চেষ্টা করলেও সমস্যা মেটেনি। ঐশ্বর্যা লালু পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে এফআইআর করেছেন। তাঁর দাবি, রাবড়ি ও তাঁর বড় মেয়ে মিসা ভারতী তাঁকে মারধর করেন, খেতেও দিতেন না। কিছুদিন আগে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে, তাতে দেখা যায়, ঐশ্বর্যা কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসছেন। লালুর ঘরের বাইরে এ নিয়ে পুলিশকেও দেখা যায়।

মিসা অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ মিথ্যে। ইদের পর মাত্র তিনবার আদালতের কাজে পটনা আসেন তিনি। যেদিন এসেছেন, সন্ধেতেই ফিরে গিয়েছেন। এই অল্প সময়ে ঐশ্বর্যার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎই হয়নি, মারধর তো দূরের কথা।