নয়াদিল্লি: বহুদিন আগেই ভারতের জঙ্গল থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে চিতা। ভারতে এখন দেখা যায় শুধু লেপার্ড বা চিতাবাঘ। তবে আশার কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। তিনি জানিয়েছেন, শীঘ্রই ভারতের জঙ্গলে ফিরবে চিতা। আজ তিনি দেশের ব্যাঘ্র প্রকল্পগুলিতে জলের উৎসের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। একইসঙ্গে দেশে চিতা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী।


ট্যুইট করে ভূপেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, ‘যে কারণে ভারত থেকে চিতা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল, সেই আশঙ্কা এখন আর নেই। ভারতে শীঘ্রই ফিরবে চিতা। স্বাধীন ভারতের জঙ্গল থেকে যে চিতা উধাও হয়ে গিয়েছিল, তা ফিরতে চলেছে। জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের ১৯-তম বৈঠকে ভারতে চিতা ফেরানোর পরিকল্পনা পেশ করা হয়েছে এবং সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজও শুরু হয়েছে।’


পরিবেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশের শেওপুরের কুনো ন্যাশনাল পার্ক এবং গ্বালিয়র-চম্বল অঞ্চলের মোরেনা জেলার জঙ্গলে চিতা ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছে। বিশ্বে এই প্রথম এভাবে কোনও দেশে চিতা ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হল।


৭৩ বছর আগে ভারতের জঙ্গল থেকে মুছে যায় চিতা। এবার হয়তো ফিরছে এই জীবটি।


দেশে বাঘের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় ১৯৭২ সালে ব্যাঘ্র সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী। সেই সময় দেশে বাঘের সংখ্যা একশোরও কম হয়ে গিয়েছিল। তারপর দেশে বাঘের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। এখন দেশে তিন হাজারেরও বেশি বাঘ রয়েছে। কিন্তু এতদিন দেশে চিতা ফেরানো যায়নি। এবার হয়তো সেটা হতে চলেছে।


ইন্দিরা গাঁধীর আমলেই ইরান থেকে ভারতে চিতা নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়। দু’দেশের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশের জঙ্গল, রাজস্থানের জয়সলমীরের থর মরুভূমি এবং কর্ণাটকের জঙ্গলে চিতা রাখার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে ইরানে ক্ষমতার পালাবদল ঘটায় সেই পরিকল্পনা ধাক্কা খায়। এবার হয়তো কেনিয়া ভারতে আনা হবে চিতা।