অপর একটি ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে অভিনয় করার জন্যই বেশি পরিচিত ছিলেন সৌমিত্রদা। তিনি ‘লিজিয়ঁ দ্য নর’, দাদাসাহেব ফালকে, বঙ্গ বিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং একাধিক জাতীয় পুরস্কার পান। তাঁর প্রয়াণে বড় ক্ষতি হল। আমি শোকাহত। তাঁর পরিবারের লোকজন, চলচ্চিত্র জগৎ এবং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা গুণমুগ্ধদের সমবেদনা জানাই।’
করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ অক্টোবর ভর্তি হন হাসপাতালে। এক মাসের বেশি সময় ধরে চলছিল মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই। আজ বেলা বেলা ১২টা বেজে ১৫ মিনিটে প্রয়াত হন সৌমিত্রবাবু। দীর্ঘ ছয় দশকের উজ্জ্বল ‘অভিযান’-এর সমাপ্তি। শেষ ফাইটটা জেতা হল না ক্ষিদ্দার।
সৌমিত্রবাবুর প্রয়াণের খবর পেয়ে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র জগতের বরণীয়, স্মরনীয় মানুষকে হারালাম। নাটক, কবিতা, গণ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তবে করোনার কাছে তিনি হার মানেননি। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করেছে। প্রত্যেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা তাঁকে ধরে রাখতে পারিনি। মৃত্যু নির্মম। একটা মানুষ তৈরি হতে অনেক সময় লাগে, সংগ্রাম, অধ্যাবসায় লাগে। পৌলমী (বসু) মায়ের কাছে নিয়ে যাবেন। সাড়ে তিনটে থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত দেহ থাকবে রবীন্দ্র সদনে। এরপর কোভিড প্রোটোকল মেনে পদযাত্রা করে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা শ্মশানে। সন্ধে ৬.১৫ থেকে ৬.৩০ মিনিটের মধ্যে গান স্যালুট দেওয়া হবে। মানুষ চলে যায় তাঁর ইতিহাস পড়ে থাকে, সৌমিত্রদা, আপনি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন। এই বাংলায় বার বার ফিরে আসুন।’