কেরল: ছবিটা এক ঝলকে দেখলে মনে হবে মানব শরীরের অবয়বে একটা বড়সড় মৌচাক। কিন্তু একটু ভালো করে দেখলেই বোঝা যাবে, এক ব্যক্তির মাথা, মুখ ঢেকে বসে রয়েছে হাজার হাজার মৌমাছি! মানুষের সঙ্গে পশুদের বন্ধুত্বর অনেক উদাহরণ রয়েছে। এই ঘটনা মানুষের সঙ্গে মৌমাছির বন্ধুত্বের। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এটা সত্যি। কেরলের এই ব্যক্তির মৌমাছিদের সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্ব রয়েছে। মৌমাছিদের দিয়ে তিনি পুরো মুখ ঢেকে ফেলতে পারেন।

কেরলের ২৪ বছরের এই ব্যক্তি পেশায় মৌমাছি পালক নেচার এমএস। ছোট থেকেই মৌমাছিদের সঙ্গেই থাকেন তিনি। নেচারের বাবা সজায়া কুমার এক পুরস্কার বিজয়ী মৌমাছি পালক। মাত্র সাত বছর বয়স থেকেই মৌমাছিদের এভাবে মাথায় বসাতে শুরু করেছিলেন নেচার। এই অভ্যেস আর মৌমাছিদের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় তাঁর নাম উঠল গিনেস বুক ওফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুসারে, নেচার পুরো চার ঘন্টা ১০ মিনিট ও পাঁচ সেকেন্ড মৌমাছিদের একটি ঝাঁক দিয়ে নিজের মাথা-মুখ ঢেকে রেখেছিলেন। যা, একটা বিশ্ব রেকর্ড।



রেকর্ডের খাতায় নিজের নাম তোলার পর নেচার বলেছেন, মৌমাছিরা আমার সেরা বন্ধু। আমি চাই সবাই আমার বন্ধুদের যেন এভাবেই ভালোবাসে।

নেচার বলেছেন, আমার বাবার পরামর্শ সবসময় আমার মাথায় থাকে। এজন্য আমার কোন ভয় লাগে না বা ঘাবড়েও যাই না। আমার বাবা মৌমাছিদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

নেচার বলেছেন, মৌমছিদের এভাবে মাথায় বসানো খুব সহজ নয়। আর মৌমাছিদের নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা হয়নি।

তিনি বলেছেন, ছোট থেকেই মৌমাছি ফার্মে বাবার সঙ্গে যেতাম। একদিন তিনি আমাকে মৌমাছি ধরে রাখতে বললেন। আর সেই দিন থেকেই ছোট্ট এই পতঙ্গ সম্পর্কে আমার আগ্রহ গড়ে ওঠে। একমাস পর বাবা আমাকে মুখে মৌমাছি রাখতে বলেন। এভাবেই মৌমাছিদের সঙ্গে বন্ধুত্বের পর্ব শুরু হয়।

নেচার বলেছেন, প্রথমটা একটা অদ্ভূত অনুভূতি হলেও ধীরে ধীরে এতে অভ্যস্ত হয়ে যান। প্রথমে এক ঘন্টা ধরে অভ্যেস করতেন। পরে সেই সময় বাড়তে থাকে। নেচার বলেছেন, এভাবে মৌমাছি বসিয়ে তিনি হাঁটতেও পারেন। দেখতেও কোনও সমস্যা হয় না। কখনও কখনও এক পাক নেচেও নেন।