মোদি আরও বলেছেন, ‘দশকের পর দশক ধরে পাকিস্তান একই ভাষায় কথা বলে যাচ্ছে। এখনও পাকিস্তান একই কথা বলছে। ভারতের মুসলিমদের বিপথে চালিত করার জন্য সবরকম চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। তারা এখন আর কিছু করতে পারছে না। কিন্তু আমি অবাক হয়ে দেখছি, ক্ষমতা হারানো ব্যক্তিরা এমন কাজকর্ম করছেন, যেটা দেশের মানুষ ভাবতেও পারেন না।’
আজ সংসদে ভাষণে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ, তিন তালাক বিলোপ, উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়ন, দেশের আর্থিক অবস্থা, পশ্চিমবঙ্গে হিংসা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন মোদি।
পাল্টা প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী বলেছেন, ‘এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হল বেকারত্ব ও কর্মসংস্থান। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনেকবার প্রশ্ন করেছি। কিন্তু তিনি কোনও কথা বলেননি। এর আগে অর্থমন্ত্রীও দীর্ঘ ভাষণ দেন। কিন্তু তিনিও এ বিষয়ে কোনও কথা বলেননি। প্রধানমন্ত্রী মোদি মূল সমস্যাগুলি থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে চান। তিনি কংগ্রেস, জওহরলাল নেহরু, পাকিস্তান নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু তিনি মূল সমস্যাগুলি নিয়ে কিছু বলেন না।’
গতকাল দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে রাহুল বলেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এখন ভাষণ দিচ্ছেন। কিন্তু ৬ মাস পরে তিনি বাড়ি থেকেই বেরোতে পারবেন না। বেকারত্ব দূর না করলে দেশের তরুণরা তাঁকে ডান্ডার বাড়ি মারবেন।’
আজ পাল্টা রাহুলকে কটাক্ষ করে মোদি বলেছেন, ‘আমি শুনেছি একজন কংগ্রেস নেতা বলেছেন, ৬ মাস পরে তরুণরা মোদি দিয়ে ডান্ডা দিয়ে মারবেন। আমি ঠিক করেছি, সূর্য নমস্কারের সময় বাড়িয়ে দেব। তাহলে আমার পিঠ এত শক্ত হয়ে যাবে যে লাঠির বাড়ি সহ্য করতে পারব। গত ২০ বছর ধরে আমাকে এত অপমান করা হয়েছে, আমি এখন ‘গালি প্রুফ’ হয়ে গিয়েছি। এবার নিজেকে ‘ডান্ডা প্রুফ’ করে তুলব।’