নয়াদিল্লি: গত শনিবার আমআদমিকে খুশির খবর দিয়ে ২৩টি পণ্যের ওপর করের হার কমিয়ে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশ জিএসটি-র স্ল্যাবের আয়তন কাটছাঁট করেছে জিএসটি কাউন্সিল। রাজস্ব বেড়েছে, তাই এবার দেশে হরদম ব্যবহার হয়, এমন পণ্যের ওপর শূন্য, ৫ শতাংশ ও ১২ থেকে ১৮ শতাংশের মধ্যে মাঝারি জিএসটি স্ল্যাব চালু হচ্ছে বলে জানালেন অরুণ জেটলি। ‘জিএসটি-র ১৮ মাস শিরোনামে’ এক ফেসবুক পোস্টে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী লিখেছেন, ব্যবহৃত মোট ১২১৬টি পণ্যের মধ্যে মোটামুটি ১৮৩টিতে শূন্য কর চাপে, ৩০৮টির ওপর ৫ শতাংশ, ১৭৮টিতে ১২ ও ৫১৭টিতে ১৮ শতাংশ হারে কর বসবে। যদিও বিলাসপণ্যের ওপর চড়া হারে কর বহাল থাকবে বলে একইসঙ্গে জানিয়েছেন জেটলি।


বর্তমানে বিলাস পণ্য, অটো যন্ত্রাংশ, ডিশওয়াশার, এসি, সিমেন্ট সহ ২৮টি পণ্যে ২৮ শতাংশ কর বহাল রয়েছে। জেটলি লিখেছেন, জিএসটি উত্তরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। আমরা বাস্তবমুখী কর হার প্রয়োগের প্রথম দফা অর্থাত বিলাসপণ্য বাদে বাকি সব পণ্যে ধাপে ধাপে ২৮ শতাংশ কর প্রত্যাহার শেষ করার পথে।
পাশাপাশি জিএসটি নিয়ে কংগ্রেসের সমালোচনা উড়িয়ে পাল্টা জেটলি লিখেছেন, যারা ৩১ শতাংশ পরোক্ষ কর চাপিয়ে ভারতকে পীড়ন করেছে, লাগাতার জিএসটি-কে ছোট করে দেখিয়েছে, তারা এবার গুরুত্ব সহকারে আত্মসমীক্ষা করুন। দায়িত্বজ্ঞানহীন রাজনীতি ও অর্থনীতি তলানির দিকেই নিয়ে যায়। তিনি বলেন, জিএসটি চালু হওয়ার আগে ব্যাপক সংখ্যক পণ্যের ওপর মোটামুটি ৩১ শতাংশই ছিল স্বাভাবিক কর হার। ফলে অ্যাসেসির সামনে হয় চড়া হারে কর দেওয়া বা তা ফাঁকি দেওয়া, এই দুটি মাত্র রাস্তাই খোলা ছিল। কর ফাঁকি দেওয়ার চল খুব বেশি ছিল।
জেটলি জানিয়েছেন, ১২ ও ১৮ শতাংশের দুটি কর হারের পরিবর্তে একটিই স্ট্যান্ডার্ড হার চালুর দিকে এগনোই হবে আগামী দিনের রোডম্যাপ।
ব্যাপক ব্যবহার হয়, এমন সব পণ্যের মধ্যে শুধু সিমেন্ট আর অটোর যন্ত্রাংশই ২৮ শতাংশ কর স্ল্যাবে রয়েছে বলে জানিয়ে জেটলি বলেন, সিমেন্টকে তুলনামূলক কম করের স্ল্যাবে ফেলা হবে তাঁদের পরের অগ্রাধিকার। বাকি সব নির্মাণ সামগ্রী ইতিমধ্যে ২৮ থেকে সরিয়ে ১৮ ও ১২ শতাংশের স্ল্যাবে ফেলা হয়েছে।