কলকাতা: দেশে অসহিষ্ণুতার পরিবেশ, জয় শ্রীরাম স্লোগান থেকে গণপিটুনির মত একাধিক সমস্যার উল্লেখ করে এবং এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। সেই অভিযোগপত্রকে তীব্র কটাক্ষ করলেন মুক্তার আব্বাস নকভি। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রীর মতে, নির্বাচনী বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার জন্য এখন সমস্ত অপরাধমূলক কাজকর্মকে সাম্প্রদায়িক তকমা দিচ্ছে বিরোধীরা।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাঠানো বিদ্বজ্জনেদের চিঠিতে সই করেছেন আদুর গোপাল কৃষ্ণণ, গৌতম ঘোষ, অপর্ণা সেন, শ্যাম বেনেগাল, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কেতন মেটা, অনুরাগ কশ্যপ, অঞ্জন দত্ত, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, কঙ্কণা সেনশর্মা, জয়া মিত্র, বিনায়ক সেন, অনুপম রায়, রূপম ইসলাম, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শোভা মুদ্গল, সুমন ঘোষ, ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ, সুমিত সরকারের মতো সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৪৯জন।

যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে নকভি বলেছেন, ‘সমস্ত অপরাধমূলক কাজকর্মেই সাম্প্রদায়িকতার রং দেওয়া ঠিক নয়। দেশে দলিত এবং সংখ্যালঘুরা পুরোপুরি সুরক্ষিত। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের ধাক্কা যারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি, তারাই এসব করছে।’

বিশিষ্টজনদের প্রতিবাদকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন নকভি। বলেছেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের পরেও একই ব্যাপার হয়েছিল। সকলে মিলে পুরস্কার ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন। এবারের চিঠি সেটারই দ্বিতীয় পর্ব।‘ আক্রমণের সুর চড়িয়ে নকভি বলেছেন, ‘কিছু মানুষ নিজেদের মানবাধিকার রক্ষার জিম্মাদার বলে দাবি করেন। তাঁরাই অপরাধমূলক কাজকর্মে সাম্প্রদায়িকতার রং চড়ান। তবে আমি স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই যে, সংখ্যালঘু ও দলিতদের অধিকার সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। মোদি প্রশাসনের আমলে দেশে কোনও বড়সড় দাঙ্গার ঘটনা না ঘটাই যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।’