তিতলির জেরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওড়িশার গোপালপুর ও বেরহামপুরের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ। ঝোড়ো হাওয়ায় লন্ডভন্ড ওড়িশা ও অন্ধ্রের উপকূলবর্তী এলাকা। ওড়িশার পাঁচ জেলা গঞ্জাম, গজপতি, পুরী, খুরদা ও জগৎসিংহপুরে প্রবল বৃষ্টি চলছে। সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। আজ ও কাল বন্ধ থাকবে গজপতি, গঞ্জাম, পুরী ও জগৎসিংহপুরের স্কুল-কলেজ। সমুদ্র অশান্ত থাকায় শুক্রবার পর্যন্ত ওড়িশা উপকূল এবং মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কায় ওড়িশার প্রতিটি জেলায় সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৬টি দল, ওড়িশার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ১১টি দল ও দমকল বাহিনী তৈরি রাখা হয়েছে। বিশাখাপত্তনম থেকে নৌবাহিনীর বিশেষ ডুবুরি দল চিল্কায় গিয়েছে। চিকিৎসকদের একটি দলও প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেখানে।
ওড়িশা ও অন্ধ্রের উপকূলে আছড়ে পড়ার পর ওড়িশা উপকূলের ওপর দিয়ে গাঙ্গেয় উপকূলের দিকে ক্রমশ এগিয়ে আসবে ঘূর্ণিঝড় তিতলি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গোপালপুর-গজপতি-গঞ্জাম-কটক-পুরী-ভদ্রক হয়ে তিতলি বাংলায় ঢুকবে। এর প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। তিতলির প্রভাবে দিঘায় রাতভর ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। রাতের জোয়ারে গার্ডওয়াল উপচে রাস্তায় এসে পড়েছে জল।