মুম্বই: নিজের দেশেই ক্রীতদাসের মতো থাকতে হচ্ছে। বিনা বাধায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতাটুকুও নেই। এই পরিস্থিতিতে তিনি ক্লান্ত। অসুস্থও বোধ করছেন। এমনই দাবি করলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।


সম্প্রতি ট্যুইটারে ‘ট্রু ইন্ডোলজি’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাসের বিষয়ে নানা পোস্ট করা হত। কিন্তু ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ অ্যাকাউন্টটি থেকে পোস্ট করা বিষয়বস্তু আপত্তিকর বলে গণ্য করছে।

এই ঘটনা নিয়ে সরব কঙ্গনা। তিনি ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ ও ট্যুইটারের সিইও জ্যাক ডোরসে-র তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ‘প্রশ্নের জবাব না থাকলে বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়, জেলে পুরে দেওয়া হয়, কণ্ঠরোধ করা হয় বা ডিজিট্যাল পরিচয় মুছে ফেলা হয়। কোনও ব্যক্তির ডিজিট্যাল পরিচয় মুছে ফেলা ভার্চুয়াল দুনিয়ায় খুনের চেয়ে কম কিছু নয়। এর বিরুদ্ধে কঠোর আইন হওয়া উচিত। ট্রু ইন্ডোলজি ফেরানো হোক।’

অন্য একটি ট্যুইটে জ্যাক ডোরসে ও ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে তোপ দেগেছেন কঙ্গনা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে ট্যুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছেন।

আরও একটি ট্যুইট করেছেন এই অভিনেত্রী। সেই ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, ‘নিজের দেশে ক্রীতদাসের মতো থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। অসুস্থ বোধ করছি। আমরা নিজেদের উৎসব পালন করতে পারি না, সত্যি কথা বলতে পারি না, পূর্বপুরুষদের হয়ে কথা বলতে পারি না, আমরা সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করতে পারি না, অন্ধকারের রক্ষকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এরকম লজ্জাজনক ক্রীতদাসের মতো জীবন থেকে লাভ কী!’

কঙ্গনার মতোই ট্রু ইন্ডোলজিকে সাসপেন্ড করার নিন্দায় সরব হয়েছেন অভিনেতা রণবীর শোরেও। তাঁর ট্যুইট, ‘এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অযৌক্তিকভাবে সবচেয়ে তথ্যপূর্ণ ও শালীন ট্যুইটার হ্যান্ডল সাসপেন্ড করে দেওয়া হল। অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয়। ট্রু ইন্ডোলজি ফেরানো হোক।’