কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ ২১ জুলাই। এভাবেই তৃণমূলকে বিঁধলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এটাই মমতার শেষ ২১ জুলাই। সামনের বার জনসভা নয়, পথসভা করতে হবে। ’
তৃণমূল আমলে তাদের জনসভার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না, একথা স্মরণ করিয়ে দিলীপ বলেন, ‘আমাদের সরকার অনুমতি দেবে, বাধা দেবে না। তৃণমূলের দুর্নীতির খতিয়ান তুলে দিলীপ বলেন, রেশন থেকে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণের টাকা লুঠ করছে তৃণমূল। ‘সব জায়গা থেকেই কাটমানি খাচ্ছে তৃণমূল। পঙ্গপালের মতো রাজ্যে লুঠ করছে তৃণমূল। ‘ত্রাণ দিতে গিয়েও বাধার মুখে বিজেপি।
কটাক্ষের সুরে দিলীপ ঘোষ বলেন, হারের পূর্বাভাস পেয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন মমতা। বলেন, হতাশাগ্রস্থ হয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন মমতা। বিধায়করাই আমার কাছে আসেন। বিধায়ক খুন হলেন, সমবেদনা নেই মুখ্যমন্ত্রীর।’ দিলীপ ঘোষের দাবি, রাজ্যে কোনও গণতন্ত্র নেই।
২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভা থেকে আজীবন বিনামূল্যে রেশনের প্রতিশ্রুতি দেন মমতা। তৃণমূলকে আক্রমণ করে দিলীপ পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘এখন বলছেন, এতদিন কেন রেশন দেননি? কেন এ রাজ্যে ২ টাকা কেজির চাল খেতে হয়?
এপ্রসঙ্গেই, বিজেপি রাজ্য সভাপতির মতে, ‘মানুষকে দুঃস্থ করে রেখেছে তৃণমূল সরকার। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে বাধা দিয়েছেন মমতা। পরিযায়ীদের নিয়ে দায় এড়াতে চেয়েছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের রেশনই পৌঁছতে পারেনি রাজ্য সরকার। তৃণমূলের অপশাসনের ফল ভুগছে বিজেপি।
দিলীপের দাবি, ‘পরিবর্তনের আঁচ পেয়ে গিয়েছেন মমতা। মানুষ ভোট দেবেন না বুঝেছেন মমতা। সে জন্যই একাধিক পুরসভায় ভোট করাচ্ছেন না। নাগরিক অধিকার কেড়ে ক্ষমতা ভোগ করছেন। মানুষকে ভয় পাচ্ছেন মমতা, তাই ভোটে যাচ্ছেন না।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, ‘দুষ্কৃতীদের ব্যবহার করে রেলের সম্পত্তির ক্ষতি করেছেন মমতা। পরের বছর সব জবাব পেয়ে যাবে তৃণমূল। কংগ্রেসের শহিদ দিবস হাইজ্যাক করেছেন মমতা। বিজেপি হিংসা করলে আগুন জ্বলত। তবে দুষ্কৃতীদের ঠাণ্ডা করতে জানে বিজেপি।
দিলীপ ঘোষের দাবি, রাজ্যজুড়ে বোমা-বন্দুকের কারখানা চলছে। গণতন্ত্রকে বিজেপি সম্মান করে। বিজেপি কেনাকাটায় বিশ্বাস করে না, বিরোধী হয়। রাজ্যে সরকার ভেঙে চাপা পড়বে তৃণমূল। তৃণমূল নয়, এবার রাজ্যের কথা ভাববে বিজেপি। দল নয়, তৃণমূলে একজন ব্যক্তির কথাই শেষ কথা। উনিশে তৃণমূল হাফ হয়েছে, একুশে সাফ হয়ে যাবে।’
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ডিএ, ইনক্রিমেন্ট না দিন, সম্মানটুকু দিন। অপরাধের নিরিখে এগিয়ে বাংলা। পুলিশের কোনও কাজ নেই, শুধু বিরোধীদের বাধা। ২৪ জুলাই বিদ্যুৎ বিল নিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ। বিজেপির ভার্চুয়াল দেখে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা। তখন হয়তো বোঝেননি ভার্চুয়াল সভা কী!’