TMC Shahid Diwas Live: বিজেপি গদ্দারদেরই পার্টি, শুভেন্দুর নাম না করে ফের নিশানা মমতার
TMC Shahid Diwas Virtual 2021 Live Updates:রাজ্যের পাশাপাশি, দলনেত্রীর বক্তব্যকে সর্বভারতীয় স্তরে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল।
ওরা নৃশংস, শান্তিতে কাউকে বাঁচতে দেবে না। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করে সুর চড়ালেন তৃণমূল নেত্রী। পাল্টা বিজেপি বলেছে,হিংসায় বাম আমলকেও ছাপিয়ে গিয়েছে তৃণমূল।
বিধানসভা ভোটের সময় অনেক শিক্ষা পেয়েছি। যারা গদ্দারি করেছে, তাদের রাজনৈতিকভাবে বিদায় দেবে মানুষ। বিজেপি গদ্দারদেরই পার্টি। শুভেন্দুর নাম না করে ফের নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বিজেপিকে বদনাম করতেই অভিযোগ করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই ফোন ট্যাপ করে। পাল্টা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
‘আমি চিদম্বরমকে ফোন করতে পারি না, ফোনে আড়িপাতা হয়। আমাকে ফোনের ক্যামেরায় প্লাস্টার লাগাতে হচ্ছে’ । ২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চে নিজের ফোন দেখিয়ে অভিযোগ মমতার। এরপর তৃণমূল কর্মীরা ফোনে টেপ লাগিয়ে প্রতিবাদ জানান।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে হাজির সব নেতাদের আন্তরিক ধন্যবাদ। বিজেপির ভয় দেখানোর কৌশলে আমরা মাথা নত করব না। তৃণমূলের সব বুথ বা ব্লক স্তরের নেতাদের ধন্যবাদ। ভোটের লড়াইয়ে তাঁরা যে লড়াই করেছেন, তার তুলনা নেই। এবার দিল্লিতে বর্তমান স্বৈরাচারী শাসকদের ছুড়ে ফেলার সময় এসেছে।’
মমতা জানিয়েছেন, কোভিড মিটলে শীতকালে ব্রিগেডে বড় সমাবেশ হবে। তখন শরদ পওয়ারদের মতো বিরোধী নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে’
মমতা বলেছেন, ‘জ্বালানি তেল, রান্নার গ্যাসের দাম নিয়ে তৃণমূলকে আন্দোলন করতে হবে। প্রতিদিন আধঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ দেখান।পেগাসাস পেগাসাস, মোদি সরকারের নাভিশ্বাস। সব রাজ্যকে বলছি, কড়া বিরোধিতা করুন। ছাত্র-যুবদের বলছি, এগিয়ে এসে মোদি সরকারের বিরোধিতা করুন। বিজেপিতে গদ্দারদের জন্ম হয়, মানুষ একদিন সব গদ্দারদের বিদায় দেবে। লড়ে যান, জয় আপনাদের হবেই। দলকে আরও সুনাম অর্জন করতে হবে, উন্নততর তৃণমূল তৈরি করুন। জেলায় নতুন-পুরনো কর্মী, মা-বোনেদের গুরুত্ব দিন।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে মমতা বলেছেন, পুরো দেশে এখন বেকারত্ব-হিংসার জেরে হতাশা। আমরা নতুন সরকারের নামে নতুন আলো আনব। সরকারের পরিচয় কাজে, মন কি বাতে নয়।’
মমতা বলেছেন, ‘শ্রমিক বা অন্যান্যকে গুরুত্ব না দিয়ে বিজেপি শুধু দলকে গুরুত্ব দেয়।জনগণের জন্য কাজ করলেই, আপনারা তাঁকে বাধা দেন। আমাদের ফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে দেশজুড়ে নিখরচায় রেশন-চিকিত্সা।’
মমতা বলেছেন, ‘করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে এখনও কোনও পরিকল্পনা নেই বিজেপির। বাজার থেকে আমরা ভ্যাকসিন কিনতে পারছি না। এভাবে ভ্যাকসিন দিলে কত বছরে শেষ হবে কে জানে!’
পেগাসাস বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কাছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের অনুরোধ জানালেন তৃণমূল নেত্রী। বলেছেন, ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নিন। আজ গণতন্ত্র বাঁচাতে পারে বিচারব্যবস্থা। বিজেপির শাসনে দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন।বিজেপি মানবিক অধিকার কাকে বলে জানে না।
মমতা বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামও উত্তরপ্রদেশের সিলেবাস থেকে বাদ দিয়েছে যোগী সরকার। করোনার থেকেও বড় ভাইরাস বিজেপি। দেশে গুলি আর গালির রাজনীতি চলছে।
মমতা বলেছেন, ‘খেলা একটা হয়েছে, আবার হবে।বিজেপিকে যতদিন না দেশ থেকে তাড়াচ্ছি, রাজ্যে রাজ্যে খেলা হবে।১৬ অগাস্ট রাজ্যে খেলা দিবস পালিত হবে।’
করোনা পরিস্থিতিতে নিয়ে বিজেপিকে নিশানা মমতার। বললেন, ‘কোভিডে কেউ মারা গেলে উত্তরপ্রদেশে নদীতে দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়।তার উপর প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন! ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হলে, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আসত না।’
মমতা বললেন, ‘নিজেদের স্বার্থ ভুলে আমাদের সবাইকে এককাট্টা হতে হবে।সব নেতাদের বলছি, ফ্রন্ট তৈরি করুন। পরের সপ্তাহে দু’তিনদিনের জন্য দিল্লি যাব। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করব। শরদ পাওয়ারদের অনুরোধ, দিল্লিতে বৈঠকের আয়োজন করুন। সেই বৈঠকে আমিও থাকব, আলোচনা হোক।
মমতা বলেছেন, ‘রান্নার গ্যাসের দাম ৪৭ বার বেড়েছে। প্রায় পৌনে চার লক্ষ কোটি টাকা খোয়া গিয়েছে গৃহস্থর। বিজেপি সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার শেষ করে দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রীয় অধিকার, বিচারব্যবস্থাকে শেষ করছে। গোটা দেশে গোয়েন্দাগিরি চলছে।’
‘ওরা নৃশংস, শান্তিতে কাউকে বাঁচতে দেবে না ।আমি চিদম্বরমকে ফোন করতে পারি না, ফোনে আড়িপাতা হয়। আমাকে ফোনের ক্যামেরায় প্লাস্টার লাগাতে হচ্ছে।
‘২০২৪-এ কী হবে জানিনা, তবে আগেভাগে পরিকল্পনা করতে হবে’
মমতা বলেছেন, ‘ত্রিপুরায় আমাদের অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি। এটাই কি গণতন্ত্র? সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হচ্ছে।’
তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, ‘বাংলা আমাদের ভোট দিয়েছে, সারা দেশ আমাদের আশীর্বাদ দিয়েছে। পিকে-কে ধন্যবাদ, অভিষেক ও তাঁর আইটি-সেলকে ধন্যবাদ।’
মমতা বলেছেন, ‘মানুষই আমাদের আশীর্বাদ দিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এনেছেন। মানুষ মানি পাওয়ার, মাসল পাওয়ারের বিরুদ্ধে লড়েছেন।
মা-মাটি-মানুষকে আমার কৃতজ্ঞতা।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ২১ জুলাই শহিদ স্মরণে আমাদের অনুষ্ঠান। জাতীয়-রাজ্য স্তরের নেতাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। উপস্থিতির জন্য শরদ পাওয়ারকে ধন্যবাদ।
‘চিদম্বরম, দিগ্বিজয় জি, আসার জন্য ধন্যবাদ।আমাদের বন্ধু জয়া বচ্চন আসায় ধন্যবাদ। এসেছেন ডিএমকে, অকালি দলের প্রতিনিধিও, তাঁকেও কৃতজ্ঞতা।
কালীঘাটে শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
একটু পরেই তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচীতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
গুজরাতের আমেদাবাদে তৃণমূলের ২১ জুলাই শহিদ দিবস কর্মসূচিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ সম্প্রচারের ব্যবস্থা
দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচীতে উপস্থিত বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দ। রয়েছেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম, দিগ্বিজয় সিংহ সহ বিভিন্ন দলের নেতারা। রয়েছেন টিআরএস, অকালি দল, সমাজবাদী পার্টির নেতারা।
বরানগরের দর্জি পাড়ার বাসিন্দা বিশ্বনাথ রায়ের ১৯৯৩-এ যুব কংগ্রেসের আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল। সে সময় তাঁর বয়স ছিল ২৮। এখন বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী মিতালি ও দুই ছেলেমেয়ে। প্রতিবছরই ২১ জুলাই ছেলে মেয়েকে নিয়ে প্রয়াত স্বামীর স্মৃতিচারণা করেন মিতালি। আজও সকাল থেকে তাঁর চোখ টিভির পর্দায়।
দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনার জন্য বসেছে জায়ান্ট স্ত্রিন। এসেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তাঁকে স্বাগত জানান সৌগত রায়। সমাজবাদী পার্টি নেতা রামগোপাল যাদবও এসেছেন।
অন্য রাজ্যে খেলা হবে হলে, দেশেরই মঙ্গল, লখনউয়ে বললেন সুখেন্দুশেখর রায়। বললেন, ২০২৪-এ ভাল ফল করতে গেলে ঘাঁটি গাড়তে হবে উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে।
রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় শহিদ দিবস পালন তৃণমূলের। ফিরহাদ হাকিম বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সংবিধান রক্ষার লড়াই চলবে।
তৃণমূলের শহিদ দিবসের পাল্টা কর্মসূচী বিজেপির। দিল্লিতে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি কর্মসূচীতে দিলীপ ঘোষ।
একুশে জুলাইয়ের আগে ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ, কৈলাস নগরে তৃণমূল নেতা আশিসলাল সিংহর ওপর হামলা হয়। ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও পুলিশ তাদের ৮২ জন কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি তৃণমূলের
পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর ভাষণে বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তার অপেক্ষায় দেশ
বক্তব্যর পর তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের শহিদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম সহ দলের নেতারা।
ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের কর্মসূচী। এখানেই প্রতি বছর শহিদ দিবসের কর্মসূচী পালন করে তৃণমূল। এবার করোনা আবহে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান। বক্তব্য রাখছেন সুব্রত বক্সি
জেলায় জেলায় ২১ শে জুলাই। ভাটপাড়ায় গঙ্গার ঘাটে তর্পণ তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। কোচবিহার, শিলিগুড়ি, মালদা, বারাসাতে চলছে মঞ্চ বাঁধা, জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানোর কাজ।
দেশজুড়ে আজ ভার্চুয়ালি ২১ জুলাই পালন করবে তৃণমূল। সম্প্রচারিত হবে মমতার বক্তৃতা।
তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের পাল্টা আজ শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করবে বিজেপি। দিল্লিতে রাজঘাটে ধর্নায় নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কর্মসূচি পালিত হবে ব্লক-বুথ ও জেলাস্তরেও। এই উপলক্ষেই গোটা শহর জুড়ে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগে পোস্টার দিয়েছে বিজেপি।
উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের চাঁপাডালি মোড়েও চলছে তৃণমূলের শহিদ দিবসপালনের প্রস্তুতি। তৃণমূলনেত্রীর ভার্চুয়াল ভাষণ শোনার জন্য বসানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন।
শহিদ দিবসে ট্যুইট করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, ১৯৯৩-এর সেই যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতি এখনও টাটকা। তত্কালীন সরকারের অমানবিক নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছিলেন ১৩ জন কর্মী। কোনওদিনও তা ভোলা যাবে না।
তৃণমূলের শহিদ দিবস উপলক্ষে ট্যুইট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, ১৯৯৩ সালে এই দিনে যে ১৩ জন শহিদ হয়েছিলেন, তাঁদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা। আজ দুপুর ২টোয় শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ভার্চুয়াল সভায় যোগ দেওয়ার জন্য সকলকে আমন্ত্রণ। অমানবিক অত্যাচার যারা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে তৃণমূল জোর গলায় আওয়াজ তুলবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় স্তরে নেতা হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তৃণমূল আগে যেসব রাজ্য শাখা খুলেছিল সেগুলোই তো গুটিয়ে গেছে। বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূলের ২১ জলাই পালন নিয়ে কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ট্যুইটে জানিয়েছেন, তিনি আজ লখনউয়ে শহিদ দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।
কোচবিহারে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে একুশে জুলাই পালনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। লাগানো হয়েছে দলীয় পতাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল বক্তৃতা দেখানোর জন্য জেলার বিভিন্ন বুথ এলাকায় লাগানো হয়েছে স্ক্রিন। কোচবিহার পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের দফতরের সামনেও বাঁধা হয়েছে মঞ্চ।
একুশে জুলাই শহিদ দিবসে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় গঙ্গার ঘাটে শহিদদের উদ্দেশে তর্পণ করলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। আজ সকালে বলরাম সরকার ঘাটে ভাটপাড়া টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তর্পণের আয়োজন করা হয়।
করোনা আবহে এবারও ভার্চুয়াল মাধ্যমেই ২১ জুলাইয়ে শহিদ দিবস পালন করবে তৃণমূল। তবে এবারই প্রথম সর্বভারতীয় স্তরে বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর বক্তৃতা শোনানো হবে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত-সহ একাধিক রাজ্যে
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ২১শে জুলাইয়ের ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবস নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, মমতা শহিদ দিবস করবেন যুব কংগ্রেসের কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদে, অথচ আমাদের কর্মীদের রোজ খুন করা হচ্ছে বাংলায়।
কৃষিমন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, শহিদ দিবস ১৯৯৪ থেকে করে আসছি, এবার অন্য মাত্রা পেয়েছে ২১ জুলাই। সারা ভারত জুড়ে পালিত হতে চলেছে।
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই কলকাতার রাজপথে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন ছিলেন রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী।সেই থেকে প্রতিবছর ২১ জুলাই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে তৃণমূল।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: আজ তৃণমূলের ২১শে জুলাইয়ের শহিদ দিবস। করোনাকালে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবস এবারও ভার্চুয়ালে।কলকাতা থেকে জেলা - চূড়ান্ত প্রস্তুতি।শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে আজ ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের পাশাপাশি, দলনেত্রীর বক্তব্যকে সর্বভারতীয় স্তরে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল।
মঙ্গলবার দেখা যায় কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় চলছে ২১-শে জুলাইয়ের ভাষণ সম্প্রচারের প্রস্তুতি।
ভাষণ সম্প্রচারের পাশাপাশি ২১শে জুলাইয়ের প্রচারে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল। ২১শে জুলাইয়ের বার্তা দিতে কলকাতার পথে নেমেছে সুসজ্জিত ট্রাম।মঙ্গলবার নোনাপুকুর ট্রাম ডিপোয় এই প্রচার অভিযানের সূচনা করেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাতে যেমন একুশের বার্তা থাকছে...তেমনিই থাকছে কেন্দ্রীয় সরকারের নানা নীতির প্রতিবাদ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -