ধর্মঘটীরা জানিয়েছিলেন, পর্যটনকে ছাড় দেওয়া হবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেটা হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় বাধার মুখে পড়তে হয় পর্যটকদের। রাজ্য সড়ক পরিবহণ নিগম পাম্বা পর্যন্ত বাসের ব্যবস্থা করলেও, আজ শবরীমালা মন্দিরে পুণ্যার্থীর সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় কম ছিল। কেরলের বিভিন্ন জায়গায় দোকান খোলা থাকলেও, অধিকাংশ রাস্তাতেই যানবাহনের দেখা মেলেনি। পাম্বা ছাড়া অন্য কোনও জায়গায় যাওয়ার সরকারি বাসও পাওয়া যায়নি। কোচিতে পর্যটকদের জন্য বাস ও গাড়ির ব্যবস্থা করেছিল পোর্ট ট্রাস্ট। কিন্তু অধিকাংশ পর্যটনস্থলই বন্ধ ছিল। ফলে হতাশ হতে হয় পর্যটকদের।
কেরলের পাশাপাশি কর্ণাটকেও ধর্মঘটের প্রভাব পড়ে। আজ রাজ্যজুড়ে বাস চলাচল ব্যাহত হয়। বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করেন ধর্মঘটীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুলও দাহ করা হয়। বেঙ্গালুরুতে ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে সরকারি বাসে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। অধিকাংশ স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। ধর্মঘটীরা রেল অবরোধেরও চেষ্টা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধর্মঘটীরা ট্রেনে পাথরও ছোঁড়ে। তামিলনাড়ুতেও ট্রেন অবরোধ করে ধর্মঘটীরা। তেলঙ্গানায় কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পরিষেবা ব্যাহত হয়। তবে জনজীবনে ধর্মঘটের বিশেষ প্রভাব পড়েনি।