নয়াদিল্লি: ‘ওপেন এন্ডেড’ জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানাকে হাতিয়ার করে দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইকবাল মির্চির পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারির আবেদন জানিয়ে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। রেড কর্নার নোটিস জারি করার আগে ‘ওপেন এন্ডেড’ জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি প্রয়োজন হয়। সেটার পর ইন্টারপোলের সদর দফতরে আবেদন জানাবে ভারত।

ইডি সূত্রে খবর, ২০১৩ সালে ইকবালের মৃত্যু হয়। তার পরিবারের লোকজন এই শতাব্দীর গোড়া থেকেই দুবাই ও লন্ডনে বসবাস করছে। বারবার সমন পাঠানো সত্ত্বেও ইকবালের স্ত্রী ও তার দুই ছেলে তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি। উল্টে তারা অর্থপাচারের অভিযোগে কেন সমন পাঠানো হয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে বম্বে হাইকোর্টে গিয়েছে। গত ডিসেম্বরে ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় ইডি। মুম্বইয়ে মির্চি পরিবারের ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এবার ইকবালের স্ত্রী হামজা মেমন, তার দুই ছেলে আসিফ ইকবাল মেমন ও জুনেইদ ইকবাল মেমনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল।

ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আশির দশকে মুম্বইয়ে মাদকের ব্যবসা ফেঁদে বসে ডি-কোম্পানি। সেই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করত দাউদ ও ইকবাল। দক্ষিণ মুম্বইয়ে সম্পত্তি কেনা নিয়েও তদন্ত চলছে। সেই সম্পত্তির পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি ঘনিষ্ঠ বন্ধু হুমায়ুন মার্চেন্টকে দেয় ইকবাল। সে ওরলির সম্পত্তির বিষয়ে ১৯৮৬ সালে স্যার মহম্মদ ইউসুফ ট্রাস্টের সঙ্গে সমঝোতায় আসে ইকবাল। সে আশির দশকের শেষদিকে লন্ডনে চলে যায়।

১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর ওরলির তিনটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে ২০০৫ সালে ব্রিটিশ নাগরিক হারুন ইউসুফ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে দাবি করেন, তিনিই ওই সম্পত্তির আসল মালিক, ইকবাল নয়। আদালত তাঁর পক্ষেই রায় দেয়। গত বছর অবশ্য গ্রেফতার হন ইউসুফ।