নয়াদিল্লি: অক্টোবর প্রায় শেষ। আবহাওয়া বদলে যাচ্ছে। সকালে-রাতে শীত শীত ভাব অনুভূত হচ্ছে। উৎসবের সময় আবহাওয়া কিছুটা শীতল হওয়ায় অনেকেই খুশি। কিন্তু চিকিৎসকরা আশঙ্কায়। তাঁরা ‘ট্যুইনডেমিক’-এর সংক্রমণের ভয় পাচ্ছেন। বহু মানুষ একইসঙ্গে করোনা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত হতে পারেন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের আশঙ্কা, এর ফল হতে পারে মারাত্মক। সেই কারণেই তাঁরা চিন্তায়। হাঁচি-কাশি ‘ট্যুইনডেমিক’-এর উপসর্গ বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।


সেন্টার ফর কমিউনিটি মেডিসিনের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হর্ষল সালভে জানিয়েছেন, ‘করোনা আবহে এবারের শীতকালে সাধারণ জ্বরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে। জ্বরের প্রকোপ এড়াতে মাস্ক পরা, ঘনঘন হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এর ফলে একইসঙ্গে জ্বর ও করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেশি করে ফল ও শাক-সবজি খেতে হবে।’

গুরুগ্রামের নারায়ণা হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান পরমিত কউর জানিয়েছেন, ‘এবারের শীতে নতুন করে অতিমারী শুরু হতে পারে। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাধারণভাবে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ। বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস প্রয়োজন। একইসঙ্গে সুস্থ জীবনযাপনও জরুরি। তার সঙ্গে শরীরচর্চা করতে হবে। তাহলেই রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।’

নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারনাল মেডিসিনের চেয়ারম্যান এস পি বায়োত্রা জানিয়েছেন, ‘আবহাওয়া বদলাচ্ছে। তাছাড়া এখনও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস জরুরি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং সুস্থ থাকার জন্য প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস ভাল কাজ দিতে পারে।’