নয়াদিল্লি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কি পরীক্ষা শেষ করতে হবে সব রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়কে, না কি পিছিয়ে যেতে চলেছে পরীক্ষার সময়সীমা? সম্ভবত আগামীকালই এ বিষয়ে রায় দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার টুইটে এমনই জানিয়েছেন আইনজীবী আলখ অলোক শ্রীবাস্তব। এর আগে ১৮ অগাস্ট আদালতে মামলাটি উঠলেও, বিচারপতিরা কোনও রায় দেননি। আগামীকাল তাঁরা রায় দিতে পারেন।


গত ৬ জুলাই ইউজিসি-র পক্ষ থেকে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা শেষ করতে হবে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গত ২৭ জুলাই আদালতে একগুচ্ছ আবেদন জমা পড়ে। ৩১ জুলাই থেকে শুনানি চলছে আদালতে। ৫০ পাতার দীর্ঘ বক্তব্যে ইউজিসি জানিয়ে দেয়, এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন কোনওভাবেই সম্ভব নয়। যেহেতু এরসঙ্গে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ জড়িত, তাই সিদ্ধান্ত বদল করা যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের পরীক্ষা দিতে হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষার্থীদের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উড়ান, বাস, রেল-সহ অন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করতে নিয়ামক সংস্থা সক্ষম নয় বলে জনিয়েছিলেন আইনজীবী।

১৮ অগাস্ট এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বলে আশা করেছিলেন পরীক্ষার্থীরা। ইউজিসি-র হয়ে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, এটি যেহেতু চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা তাই তা বাতিল করা সম্ভব নয়। কিন্তু দেশে যেখানে হু হু করে সংক্রমণ বাড়ছে। দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারে নিত্যনতুন রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। সেখানে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত সে প্রশ্ন উঠেছে নানান মহলে। এমনকী, শুধু পরীক্ষার্থীরাই নন, ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা (জেইই- মেইন), ডাক্তারি প্রবেশিকা (নিট-ইউ-জি) পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য পরীক্ষা যেন বাধ্যতামূলক না হয় সেই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি-র রাজ্যসভা সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও পরীক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন।

যদিও সুপ্রিম কোর্ট আগেই পরীক্ষা পিছোনোর আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। এমনকী ভিন দেশের পরীক্ষার্থীরা যাঁরা নিট পরীক্ষায় বসবেন ‘বন্দে ভারত’ উড়ানে তাদের ফেরানোর ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত কী রায় দেয়, তা নিয়ে অধীর অপেক্ষায় কয়েক লক্ষ ছাত্র ছাত্রী।