নয়াদিল্লি: রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে করোনা ভ্যাকসিনের ৭৯ লক্ষ ডোজ রয়েছে এবং আগামী তিন দিনে আরও ১৭ লক্ষ ডোজ সরবরাহ করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক শনিবার এই তথ্য জানিয়েছে।


শনিবার সকাল আটটার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রায় ১৬.৩৭ কোটি করোনা টিকার ডোজ নিখরচায় সরবরাহ করেছে। নষ্ট হওয়া সহ সংখ্যা মিলিয়ে এরমধ্যে ১৫,৫৮,৪৮,৭৮২ ডোজের ব্যবহার হয়েছে।


দিল্লিকে দেওয়া হয়েছে কোভিশিল্ডের ৩,৭৩,৭৬০ ডোজ


স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে যে, এখনও রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে ৭৯,১৩,৫১৮ কোভিড-১৯ টিকার ডোজ রয়েছে। এছাড়াও আগামী তিন দিনের মধ্যে রাজ্য় ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ১৭,৩১,১১০ ডোড সরবরাহ করা হবে।


মন্ত্রক আরও জানিয়েছে যে, মে মাসের প্রথম পক্ষের জন্য মহারাষ্ট্রকে কোভিশিল্ডের ১৭,৫০,৬২০ ডোজ ও কোভ্যাক্সিনের ৫,৭৬,৮৯০ ডোজ বন্টন করা হয়েছে।এখনও পর্যন্ত দিল্লিকে ৩,৭৩,৭৬০ কোভিশিল্ডের ডোজ ও কোভ্যাক্সিনের ১,২৩,১৭০ ডোজ দেওয়া হয়েছে।


পশ্চিমবঙ্গকে  কত দেওয়া হয়েছে?


স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে,  পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে কোভিশিল্ডের ৯,৯৫,৩০০ ডোজ ও কোভ্যাক্সিনের ৩,২৭,৯৮০ ডোজ।


কেরলকে দেওয়া হয়েছে কোভিশিল্ডের ৬,৮৪,০৭০ ডোজ


অন্যদিকে, ছত্তিসগড়কে কোভিশিল্ডের ৬,৪৭,৩০০ ডোজ, কোভ্যাক্সিনের ২,১৩,৩০০ ডোজ দেওয়া হয়েছে।  উত্তরপ্রদেশকে এখনও পর্যন্ত কোভিশিল্ডের ১৩,৪৯,৮৫০ ডোজ ও কোভ্যাক্সিনের ৪,১১,৮৭০ ডোজ দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানকে কোভিশিল্ডের ১২,৯২,৪৬০ ডোজ ও কোভ্যাক্সিনের ৪,৪২,৩৯০ ডোজ দেওয়া হয়েছে।


কেরলকে দেওয়া হয়েছে কোভিশিল্ডের ৬,৮৪,০৭০ ডোজ ও কোভ্যাক্সিনের ২,২৫,৪৩০ ডোজ। পঞ্জাবকে কোভিশিল্ডের ৪,৬৩,৭১০ ও কোভ্যাক্সিনের ১,৫২,৮১০ ডোজ দেওয়া হয়েছে। গুজরাতকে সরবরাহ করা হয়েছে কোভিশিল্ডের ১২,৪৮,৭০০ ডোজ ও কোভ্যাক্সিনের ৪,১১,৪৯০ ডোজ।


উল্লেখ্য, ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। অন্যদিকে, কেন্দ্র আজ থেকেই ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য টিকাকরণ অভিযানের ছাড়পত্র দিয়েছে। টিকাকরণের এই তৃতীয় পর্বের জন্য নাম নথিভূক্তকরণের কাজ ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে। যদিও ভ্যাকসিনের অভাবের জন্য আজ থেকে অনেক রাজ্যই ১৮ ঊর্ধ্বদের করোনা টিকাপ্রদানের অভিযান শুরু করতে পারেনি।