হায়দরাবাদ: ভারতের করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট অব্যাহত। রয়েছে ভ্যাকসিনের আকাল। এরইমধ্যে দেশে পৌঁছল রাশিয়ায় তৈরি করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি। হায়দরাবাদে বিমানে করে পৌঁছল স্পুটনিক ভি। রাশিয়ায় তৈরি ভ্যাকসিনের প্রথম দফায় ভারতে পৌঁছল। ভ্যাকসিনের চলতি সংকটের মধ্যে এই খবর কিছুটা হলেও স্বস্তির।
কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের পর তৃতীয় ভ্যাকসিন হিসেবে ভারতে আপৎকালীন ব্যবহারের ছাড়পত্র পেয়েছে মস্কোর গ্যামেলিয়া ইন্সস্টিটিউটের তৈরি স্পুটিনিক ভি। বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন হিসেবে দাবি করা হয় এই ভ্যাকসিনকে।
এই ভ্যাকসিনগুলি ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবেরেটরির হাতে যাবে। এই কোম্পানি রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সঙ্গে ভারতে স্পুটনিক ভি উৎপাদনের জন্য হাত মিলিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত স্পুটনিক ভি-র কতগুলি ডোজ ভারতে এসে পৌঁছেছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে সংবাদসংস্থা কূটনৈতিক সূত্র উল্লেখ করে জানিয়েছে যে, মে-র প্রথমার্ধে দেড় থেকে দুই লক্ষ রেডি-মেড ভ্যাকসিন ভারতে পাওয়া যাবে বলে আশা। চলতি মাসের মধ্যে আরও ৩০ লক্ষ ডোজ ভারতে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জুনের মধ্যে এই ভ্যাকসিনের ৫০ লক্ষ ডোজ ভারত পেয়ে যাবে বলে আশা। এপ্রিলে রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড-এর সিইও কিরিল ডিমিট্রিয়েভ জানিয়েছিলেন যে, ভারতে প্রথম ব্যাচ পৌঁছবে ১ মে। আগামী কয়েক মাসে ভারতে ৫ কোটি এই ভ্যাকসিনের ডোজ উৎপাদিত হবে বলেও তিনি জানান। এর আগে প্রকাশিত খবরে ইঙ্গিত ছিল যে, এই ভ্যাকসিনের ৮৫০ কোটি ডোজ উৎপাদনের জন্য ভারতের পাঁচটি ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে।
স্পুটনিক ভি দুটি ০.৫ এমএলের দুটি ডোজে ২১ দিনের ব্যবধানে দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা ৯০ শতাংশের বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। নির্দেশিকা অনুসারে, তরল অবস্থায় এই টিকাকে মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রাখতে হবে। তবে ফ্রিজ-ড্রায়েড অবস্থায় তা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা যাবে। ফলে এর মজুত ও পরিবহণ সহজসাধ্য।