নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন আজাদ সমাজ পার্টি (ভীম আর্মি) প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। গত সপ্তাহে বিজেপি-র পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, এবারের বিধানসভা ভোটে গোরক্ষপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন যোগী। এরপরেই ভীম আর্মি প্রধান ঘোষণা করলেন, তিনিও গোরক্ষপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন। ফলে উত্তরপ্রদেশে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হতে চলেছে এই আসনের লড়াই।


উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিধানসভা নির্বাচনে গোরক্ষপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন যোগী। তাঁর আগে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভূবন নারায়ণ সিংহ গোরক্ষপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের নির্বাচনে হেরে যান। তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গোরক্ষপুর জেলার মণিরাম বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন।


গোরক্ষপুর অবশ্য যোগীর পুরনো কেন্দ্র। ১৯৯৮ থেকে ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া পর্যন্ত তিনি গোরক্ষপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। এই কেন্দ্রে এবার তাঁকে কঠিন লড়াইয়ে ফেলে দিতে পারেন চন্দ্রশেখর আজাদ। সূত্রের খবর, ভীম আর্মি প্রধান দাবি করেছেন, তিনি দলিতদের সমর্থন পাবেন। এতদিন দলিতরা বহুজন সমাজ পার্টিকে ভোট দিয়ে এলেও, এবার তাঁরা আজাদ সমাজ পার্টিকেই ভোট দেবেন।





গোরক্ষপুর নগর বিধানসভা কেন্দ্রের ইতিহাস বলছে, এই আসনটি গত কয়েক দশক ধরেই দক্ষিণপন্থীদের শক্ত গড়। ১৯৫২ থেকে পরপর তিনবার এই কেন্দ্রে জয় পায় কংগ্রেস। কিন্তু ১৯৬৭ সালের ভোটে এই কেন্দ্রে জয় পান ভারতীয় জনসঙ্ঘ মনোনীত প্রার্থী। ১৯৭৭ পর্যন্ত গোরক্ষপুর নগর কেন্দ্র নিজেদের দখল রাখতে সক্ষম হয় ভারতীয় জনসঙ্ঘ। বিজেপি গঠিত হওয়ার পর থেকে তাদেরই দখলে এই কেন্দ্র। সেই কারণে যোগী এখানে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। তবে চন্দ্রশেখর আজাদ হাল ছাড়তে নারাজ। দলিত ভোট তাঁর সবচেয়ে বড় ভরসা। বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করছে ভীম আর্মি। তাদের আশা, উত্তরপ্রদেশে এবারের নির্বাচনে তারা প্রভাব ফেলতে পারবে। শাসক দল বিজেপি-র পালের হাওয়া কেড়ে নেওয়াই তাদের প্রধান লক্ষ্য।