রাজভর বেশ কিছুদিন ধরেই জোটশরিক বিজেপি-র বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নানা মন্তব্য করে আসছেন। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে তিনি বলেন, বিজেপি নেতাদের জুতো দিয়ে মারা উচিত। এবারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে প্রার্থী দেন রাজভর। তিনি কয়েকটি কেন্দ্রে কংগ্রেস ও সপা-বসপা জোটকে সমর্থন করার কথাও জানান। কয়েকদিন আগে আদিত্যনাথকে চিঠি দিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার কথাও বলেন এসবিএসপি প্রধান। এরপরেই তাঁকে বরখাস্ত করা হল।
মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত হওয়ার কথা জানার পর আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করে রাজভর বলেছেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী দেরিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি যদি ২০ দিন আগেই এই সিদ্ধান্ত নিতেন, তাহলে ভাল হত। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন, যুদ্ধ পছন্দ করেন না। ওমপ্রকাশ রাজভরই যুদ্ধ শুরু করেছিল।’
এসবিএসপি প্রধান আরও বলেছেন, ‘আমি শুধু লোকসভা নির্বাচনে একটি আসন চেয়েছিলাম। আমাদের একটি দল আছে। আমরা যদি নির্বাচনে লড়াই না করি, তাহলে দলীয় কর্মী ও মানুষের কাছে কী বার্তা দেব? আমি একা জন্মেছি, একাই হাঁটব। আমরা মানুষের কাছে মতামত তুলে ধরব এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষের অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করব।’
পাল্টা বিজেপি মুখপাত্র মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে বলেছেন, ‘বিজেপি জোটধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং শরিক দলগুলিকে সম্মান দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে উত্তরপ্রদেশে আমাদের জোটসঙ্গী ওমপ্রকাশ রাজভর শুধু জোটধর্মের রীতি ভঙ্গই করেননি, সেটি রীতিমতো লঙ্ঘন করেছেন। সেই কারণেই দল ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন। জোটশরিক হওয়া সত্ত্বেও রাজভর ক্রমাগত বিজেপি ও বিজেপি নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে চলেছেন। তিনি সরকারের নীতিরও বিরোধিতা করেন। তিন শুধু লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র বিরুদ্ধে প্রার্থীই দেননি, প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থীদের সমর্থন করেছেন। তা সত্ত্বেও আমরা সংযম দেখিয়েছি।’