লখনউ: লখনউয়ের গোমতী নগর এলাকায় পুলিশকর্মীর গুলিতে খুন অ্যাপেল-এর এরিয়া এক্সিকিউটিভ বিবেক তেওয়ারির পরিবারের লোকজন সোমবার দেখা করলেন যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে। রাজ্য সরকারের ওপর ভরসা আছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ৩৮ বছরের নিহত বিবেকের স্ত্রী কল্পনার দাবি, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সব দাবি মেনেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আগেও বলেছি, রাজ্য সরকারের ওপর আমার আস্থা আছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হওয়ার পর তা আরও শক্ত হয়েছে। যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে, যা হওয়ার কথা ছিল না, তারপর আমি কী করব বুঝতে পারছিলাম না। আমায় ভেঙেচুরে দিয়েছে ঘটনাটা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর আমার নতুন করে মনে হচ্ছে যে, আমার স্বামী যে দায়িত্ব আমার কাঁধে ছেড়ে গেলেন, তা সম্পূর্ণ করতে পারব। পুলিশের নির্দেশ সত্ত্বেও গাড়ি না থামানোর অভিযোগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্য রাস্তায় উত্তরপ্রদেশে পুলিশের এক কনস্টেবল গুলি করে হত্যা করেন বিবেককে।



এদিন সকালে প্রয়াত বিবেকের বাড়ি যান উপ মুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা। সেখান থেকে তাঁর স্ত্রী, শ্যালক ও দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়ে দিতে তাঁর ৫ কালিদাস মার্গের বাসভবনে যান তিনি। আদিত্যনাথ তাঁদের সমবেদনা জানান, সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতিও দেন। তারপরই কল্পনা বলেন, আমি দোষীদের কঠোর শাস্তি, একটা চাকরি, আবাসন, মেয়েদের পড়াশোনার খরচ ও শ্বাশুড়ির যাবতীয় আর্থিক ব্যয় মেটানোর দাবি করেছি। মুখ্যমন্ত্রী সবগুলিই মেনে নিয়েছেন।
পরে উপমুখ্যমন্ত্রীও বলেন, পরিবারটি সরকারের নেওয়া পদক্ষেপে সন্তুষ্ট। কল্পনার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে চাকরি সহ নিহতের পরিবারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেব। ওঁরা আমার পরিচিত। ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম। গতকাল গিয়ে দেখাও করি। ওঁরা অনেকদিন ধরে বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন, চাননি, ঘটনাটি নিয়ে রাজনীতি হোক।
প্রসঙ্গত, অ্যাপেল-এর ওই কর্তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে মেরে ফেলার অভিযোগে ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে গাড়িতে থাকা সহকর্মী সানা খানের দায়ের করে এফআইআরের ভিত্তিতে দুই কনস্টেবল প্রশান্ত চৌধুরি ও সন্দীপ কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাকরি থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে দুজনকে।