প্রসঙ্গত, ১৩ হাজার কোটি ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত নীরব মোদীকে খুঁজছে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তবে এই প্রথমবার কোনও ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা এইধরনের ক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিদেশের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল।
এদিকে নীরব মোদীর প্রায় ২২.৬৯ কোটির হীরের গয়না হংকং থেকে ভারতে ফেরত আনা হয়েছে, খবর ইডি সূত্রে। এই বছর জানুয়ারিতে পিএনবি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পর সিবিআই যখন জানুয়ারিতে প্রথম এফআইআর দায়ের করে, তখনই ওই গয়না বিদেশে পাঠানো হয়। হংকংয়ের একটি বেসরকারি সংস্থার ভল্টে গচ্ছিত করে রাখা ছিল ওই গয়না। গয়না রাখা ছিল নীরব মোদীর নামেই।
লন্ডনে নীরবের যে অ্যাপার্টমেন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেটার মালিক তাঁরই বোন পূরবী মোদী। অ্যাপার্টমেন্টের আনুমানিক মূল্য ৫৭ কোটি। ২০১৭ সালে সেটি বেলভেডারে হোল্ডিং গ্রুপের নামে কেনা হয়। সেই সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত পূরবী।
এছাড়া নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কে ২১৬ কোটি মূল্যের দুটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ইথাকা ট্রাস্ট নামের এক সংস্থার নামে কেনা হয় ওই সম্পত্তি। ওই সম্পত্তির অধিকারী অ্যামি মোদী (নীরব মোদীর স্ত্রী) এবং সন্তানরা। সূত্রের খবর, পিএনবি থেকে জালিয়াতি করে তোলা টাকা দুবাই, বাহামাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ মুম্বইয়ে ১৯.৫ কোটির একটি ফ্ল্যাটও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সেটি রয়েছে পূরবী মোদীর নামে।
যে পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে তারমধ্যে গচ্ছিত রয়েছে ২৭৮ কোটি টাকা। ওই অ্যাকাউন্টগুলি রয়েছে নীরব, পূরবী এবং তাঁদের সংস্থার নামে। একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এক ইনভেস্টমেন্ট সংস্থার নামে রেজিস্টার করা আছে। সেই সংস্থাটি ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে রয়েছে। মালিক নীরবের বোন পূরবী এবং সিঙ্গাপুরবাসী কোনও এক মৈয়াঙ্ক মেহেতা। প্রসঙ্গত, পিএনবি কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর তদন্তে দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ টাকা এই অ্যাকাউন্টেই ট্রান্সফার হয়েছে।