করহাল: উত্তরপ্রদেশে জয়জয়কার বিজেপির। তবে এরই মধ্যে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবের জয়। ৬১ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় বার বিজেপি-র ক্ষমতায় ফেরা আটকানো অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল বিরোধীদের। সেই কাজে সেখানে বিরোধী শিবিরের প্রধান মুখ অখিলেশ। দলের বৈতরণী পার করে দিতে চেষ্টায় কোনও খামতি রাখেননি তিনি। কিন্তু শুরুতে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীই হতে চাননি অখিলেশ। তকিন্তু কাণ্ডারীর হাতেই যদি হাল না থাকে, তাহলে বাকিরা কী করবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে দলের অন্দরে। খানিকটা হলেও উৎসাহে ছেদও পড়ে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতেই তাই দু’দশকের রাজনৈতিক জীবনে এ বার প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অখিলেশ। তার জন্য সমীজবাদী গড় বলে পরিচিত করহলকে বেছে নেন তিনি।
একমাত্র ২০০২ সালকে বাদ দিলে, ১৯৯৩ থেকে একটানা মইনপুরীর করহলে জয়ী হয়ে আসছে সমাজবাদী পার্টি। এত দিন ওই কেন্দ্র দলের নেতা সোবরন সিংহ যাদবের দখলে ছিল। এ বার সেখান থেকেই প্রার্থী হচ্ছেন অখিলেশ। কিন্তু মুলায়ম-পুত্রের জন্য আসন হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ নেই সোবরনের। বরং সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান, অখিলেশের জন্য স্বেচ্ছায় ওই আসন ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। অখিলেশকে করহল থেকে ভোটে দাঁড়ানোর সুপারিশও তাঁরই বলে জানান সোবরন।
এদিকে, ফের যোগীতেই আস্থা উত্তরপ্রদেশের। গোরক্ষপুর থেকে লক্ষাধিক ভোটে জিতলেন যোগী আদিত্যনাথ। কিছুটা আসন কমলেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের ক্ষমতায় বিজেপি। এখনও পর্যন্ত ২৬৩ আসনে জয়ের পথে বিজেপি। গতবারের তুলনায় আসন বাড়লেও বহু পিছিয়ে সমাজবাদী পার্টি। ১৩৫ আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে অখিলেশের দল। বিএসপি ১, কংগ্রেস আটকে ২ আসনে। ৩৭ বছর পর উত্তরপ্রদেশে পরপর দু’বার সরকারে শাসকদল। ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর প্রথমবার ফের নির্বাচিত কোনও মুখ্যমন্ত্রী। একমাত্র পাঞ্জাবেই ক্ষমতায় আসছে আপ।