লখনউ: রাত পোহালেই উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। কাল ভোট ৯টি জেলার ৫৫টি আসনে। শাহজাহানপুর, রামপুর, মোরাদাবাদ, বরেলি, বিজনৌর, আমরোহা, বদাঁয়ু-র মতো নজরকাড়া কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। এই অঞ্চলের আখ চাষিদের সমস্যাই ভোটের অন্যতম ইস্যু। ভোটগ্রহণ চলবে সকাল সাতটা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। এই পর্বে মোট ৫৮৬ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে। শনিবারই ভোটের প্রচার শেষ হয়ে গিয়েছে। ১৭ হাজার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কাল যে ৯টি জেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে সেগুলি হল সাহারানপুর, বিজনৌর, মোরাদাবাদ, সম্ভল, রামপুর, আমরোহা, বদায়ুঁ, বরেলি ও শাহজাহানপুর। এর মধ্যে একটি বড় অংশে বরেলভি ও দেওবন্দ গোষ্ঠীর ভোটারের সংখ্যা বেশি। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলি সমাজবাদী পার্টির শক্ত ঘাঁটি। তবে ২০১৭ সালের ভোটে এই ৫৫টি আসনের মধ্যে বিজেপি-র ঝুলিতে গিয়েছিল ৩৮টি আসন। সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস জোট পেয়েছিল মোট ১৭টি আসন। সমাজবাদী পার্টি যে ১৫টি আসন পেয়েছিল, তার মধ্যে ১০টি আসনেই জয় পান মুসলিম প্রার্থীরা।
নজরকাড়া কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম রামপুর। এখানে জেল থেকেই সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হয়েছেন মহম্মদ আজম খান। শাহজাহানপুর থেকে প্রার্থী হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশ খন্না। নকুড় কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী সদ্য বিজেপি ছেড়ে আসা যোগী আদিত্যনাথ মন্ত্রিসভার প্রাক্তন মন্ত্রী ধরম সিংহ সাইনি। উত্তরপ্রদেশের জলশক্তি দফতরের প্রতিমন্ত্রী বলদেব সিংহ আওলাখ বিলাসপুর থেকে প্রার্থী হয়েছেন। নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মহেশ চন্দ্র গুপ্ত প্রার্থী হয়েছেন বদায়ুঁ থেকে। মধ্যশিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী গুলাব দেবী প্রার্থী হয়েছেন চন্দোসৌ থেকে।
দ্বিতীয় দফার ভোটে ৯টি জেলাতেই নিরাপত্তার উপর জোর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ (সিএপিএফ), সিভিক পুলিশ ও হোমগার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। বরেলির অতিরিক্ত ডিজিপি রাজকুমার জানিয়েছেন, ‘যে কোনও তথ্য আদান-প্রদান যাতে সহজে করা হয়, তার জন্য মোরাদাবাদ পুলিশ ই-সম্পর্ক অ্যাপ চালু করেছে। বরেলি বিমানবন্দরে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স রাখা থাকবে। উত্তরাখণ্ড থেকে যাতে কোনও দুষ্কৃতী চলে আসতে না পারে, তার জন্য সীমান্তে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। ভোটদানের সময় গোলমাল পাকাতে পারে, এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’