গত ৯ মার্চ ইলাহাবাদ হাইকোর্ট ওই ধরনের হোর্ডিং সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছিল, এটা মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ। তাদের নির্দেশ মেনে পোস্টার-হোর্ডিং খোলা হয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে ১৬ মার্চের মধ্যে লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসককেও নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর ও বিচারপতি রমেশ সিনহার বেঞ্চ বলেছিল, বর্তমান মামলায় ব্যানারে যাদের ব্যক্তিগত তথ্যের উল্লেখ করা হয়েছে, তারা নিজেরা কতটা আঘাত পেলেন, সেটা নয়, বিষয়টা হল মূল্যবান সাংবিধানিক মূল্যবোধ কতটা ধাক্কা খেল এবং প্রশাসন তার যে নির্লজ্জ প্রদর্শন করছে, সেটা। এটা সরকারি এজেন্সিগুলির অগণতান্ত্রিক আচরণ যাদের জনজীবনের সব সম্প্রদায়ের মানুষকে সমান চোখে মর্যাদা দেওয়ার কথা এবং সবসময় এমন ভাবে চলার কথা যাতে সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিফলন হয়।
গত ৫ মার্চ লখনউয়ে সেই ৫৭ জনের নাম, ঠিকানা সহ ব্যানার, হোর্ডিং টাঙানো হয় যাদের গত ১৯ ডিসেম্বর সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির জন্য দোষী বলে চিহ্নিত করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। ব্যানারে বলা হয়, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হওয়ায় ১.৫৫ কোটি টাকার যে লোকসান হয়েছে, তা ওদের কাছ থেকেই আদায় করা হবে, নয়তো ওদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।
ওই ৫৭ জনের তালিকায় আছেন কংগ্রেস নেতা সাদাফ জফর, অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার এস আর দারাপুরি, রিহাই মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ শোয়েইব ও নামী শিয়া ধর্মগুরু কালবে সাদিকের ছেলে কালবে সিবতেইন নুরি।
হাইকোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন এই সমাজকর্মীরা।
এদিকে মেরঠ জেলা প্রশাসনও গত ডিসেম্বরে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে ক্ষয়ক্ষতির জন্য যাদের নোটিস পাঠিয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে, তাদের নাম, ছবি সহ হোর্ডিং লাগানোর কথা ভাবছে। ৫১ জনকে এ ধরনের নোটিস পাঠিয়ে ২৮.২৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ শোধ করতে বলা হয়েছে।