মুম্বই ও নয়াদিল্লি: বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সংঘাতের পারদ চড়ছিল কিছুদিন ধরেই। এই আবহে আজ আচমকা ইস্তফা দিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত পটেল। তিনি অবশ্য ইস্তফার কারণ ব্যক্তিগত বলেই জানিয়েছেন। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘ব্য়ক্তিগত কারণে আমি বর্তমান পদ থেকে ইস্তফা দেওযার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত এখন থেকেই কার্যকর হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন পদে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। কর্মী, অফিসার ও ম্যানেজমেন্টের সহযোগিতা ও কঠোর পরিশ্রমের ফলেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গত কয়েক বছরে দারুণ সাফল্য পেয়েছে। আমার সহকর্মী এবং আরবিআই সেন্ট্রাল বোর্ডের ডিরেক্টরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’



রঘুমার রাজনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁকে দ্বিতীয়বার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর করা হয়নি। তাঁর বদলে ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ২৪-তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন উর্জিত। কিন্তু তিনি পূর্ণ সময় এই পদে থাকলেন না। ১৯৯২ সালের পর এই প্রথম কোনও ব্যক্তি সবচেয়ে কম সময়ের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের পদে থাকলেন। বিদায়ী বিবৃতিতে সরকারের সঙ্গে সংঘাতের ইঙ্গিত দিয়েছেন উর্জিত। তাঁর বক্তব্যে সহকর্মীদের কথা থাকলেও, কেন্দ্রীয় সরকার বা অর্থমন্ত্রকের উল্লেখই নেই।



প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর হিসেবে উর্জিতের কাজের প্রশংসা করেছেন। ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘ড. উর্জিত পটেল একজন বড়মাপের অর্থনীতিবিদ। ম্য়াক্রো অর্থনীতির বিষয়ে তাঁর গভীর জ্ঞান রয়েছে। তিনি ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে অচলাবস্থা থেকে শৃঙ্খলায় বেঁধেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আর্থিক স্থিতাবস্থা আনে। তিনি ডেপুটি গভর্নর ও গভর্নর হিসেবে ৬ বছর রিজার্ভ ব্যাঙ্কে ছিলেন। আমরা তাঁর অভাব অনুভব করব।’



কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর হিসেবে উর্জিতের কাজের প্রশংসা করেছেন। তিনি ট্যুইট করে বলেছেন, ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর ও গভর্নর হিসেবে দেশের প্রতি ড. উর্জিত পটেলের কাজের স্বীকৃতি দিচ্ছে সরকার। তাঁর সঙ্গে কাজ করে আনন্দ পেয়েছি এবং জ্ঞান লাভ করেছি। তাঁকে ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’