পূর্ব লাদাখ সীমান্ত ইস্যুতে চলতি ভারত-চিন বিরোধ, সংঘাতের মধ্য়েই পম্পিওর এই স্পষ্ট অবস্থানে ভারতের হাত শক্ত হল বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। পম্পিওর সঙ্গে ছিলেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
চিন প্রসঙ্গেও পম্পিও পরিষ্কার বলেন, শুধুমাত্র চিনা কমিউনিস্ট পার্টির খাড়া করা বিপদই নয়, ভারত ও আমেরিকা সব ধরনের বিপদ, হামলার বিরুদ্ধেই সহযোগিতা জোরদার করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে। গত বছর সাইবার ইস্যুতে আমাদের সহযোগিতা সম্প্রসারিত করেছি আমরা। ভারত মহাসাগরে আমাদের দুদেশের নৌবাহিনী যৌথ মহড়াও করেছে।
পাশাপাশি চিনের শাসক কমিউনিস্ট পার্টি আইন, স্বচ্ছতার নীতি মানছে না বলেও তাদের তীব্র সমালোচনা করেন পম্পিও। তিনি বলেন, আমাদের নেতারা, জনগণের কাছেও এটা ক্রমশঃ পরিষ্কার হয়ে উঠছে যে, চিনা কমিউনিস্ট পার্টি গণতন্ত্র, আইনের শাসন, স্বচ্ছতার সহায়ক, বন্ধু নয়। আমার এটা বলতে পেরে ভাল লাগছে যে, শুধু চিনা কমিউনিস্ট পার্টির তৈরি করা বিপদ-বাধাই নয়, সব ধরনের যাবতীয় হুমকি, হুঁশিয়ারির বিরুদ্ধেই সহযোগিতা বাড়াতে সব পদক্ষেপ করছে ভারত, আমেরিকা।
আমেরিকা ভারতকে বহুমাত্রিক শরিক বলে দেখে, নিরাপত্তা পরিষদে তার স্থায়ী পদের দাবিকে সমর্থন করে চলেছে বলেও জানান পম্পিও।