লখনউ: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) এবারের বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Elections 2022) বিজেপি-র (BJP) বিরুদ্ধে জোরদার প্রচারে ঝাঁপিয়েছিল আসাদউদ্দিন ওয়েইসির (Asadudddin Owaisi) এআইএমআইএম (AIMIM)। ওয়েইসিও প্রচারে যান। কিন্তু তা সত্ত্বেও দাগ কাটতে পারল না তাঁর দল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গোটা উত্তরপ্রদেশে মাত্র ০.৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে এআইএমআইএম। একটি আসনেও জয়ের কাছাকাছি পৌঁছতে পারেননি এআইএমআইএম প্রার্থীরা।
উত্তরপ্রদেশে এবার মুসলিম ভোট তাঁদের পক্ষে আসবে, এই আশা ছিল ওয়েইসির। তিনি প্রচারে বারবার বিজেপি-র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হন। কিন্তু শেষপর্যন্ত কিছুই হল না। ফের যোগী আদিত্যনাথের উপর ভরসা রাখলেন উত্তরপ্রদেশের মানুষ। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরল বিজেপি।
এর আগে ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে ৩৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল এআইএমআইএম। সেবার মোট ২ লক্ষের মতো ভোট পেয়েছিলেন ওয়েইসির দলের প্রার্থীরা। এবার এআইএমআইএম-এর ৩৮ জন প্রার্থী ২২.৩ লক্ষ ভোট পেয়েছেন। তাঁদের দলের ভোট শতাংশ সামান্য বেড়েছে।
এবার আজমগড়ের মুবারকপুর আসনে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিল এআইএমআইএম। বহুজন সমাজ পার্টি ছেড়ে আসা নেতা গুড্ডু জামালিকে এই আসনে প্রার্থী করে এআইএমআইএম। কিন্তু জয়ের ধারেকাছেও থাকতে পারেননি জামালি।
এ বিষয়ে উত্তরপ্রদেশের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেছেন, ‘ওয়েইসি যে ধরনের রাজনীতি করেন, সেটার জন্য উত্তরপ্রদেশের মানুষ তৈরি নন। তিনি হয়তো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন, কিন্তু ভোট টানতে পারেন না। তাঁকে বুঝতে হবে, হায়দরাবাদের চেয়ে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি আলাদা।’
৩ দশক পর, উত্তরপ্রদেশে টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরল কোনও সরকার। রেকর্ড গড়ল বিজেপি। নরেন্দ্র মোদিকে ঐতিহাসিক জয় উপহার দিলেন যোগী আদিত্যনাথ। গতবারের থেকে আসন বাড়লেও, বিজেপির থেকে অনেক পিছনে রইল অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি। লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হলেন যোগী আদিত্যনাথ। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট গতবারের চেয়েও বাড়ল। প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর মাটি কামড়ে লড়াইয়ের পরও, উত্তরপ্রদেশে বিন্দুমাত্র দাগ কাটতে পারল না কংগ্রেস। উল্টে গতবারের চেয়েও আসন কমে গেল তাদের। একদা গড় রায়বরেলি ও অমেঠিতেও একটিও আসনে জিততে পারল না কংগ্রেস। অন্যান্য দলগুলি দাগ কাটতে ব্যর্থ।