নৈনিতাল: করোনা আক্রান্ত হলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত। আজ তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হননি। নিজের বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন তিনি।


আজ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘আজ আমি করোনা পরীক্ষা করাই। সেই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমার শরীর ঠিকই আছে। কোনওরকম উপসর্গও নেই। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আমি হোম আইসোলেশনে থাকব। গত কয়েকদিনে যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

মাস ৬ আগে করোনা আক্রান্ত হন উত্তরাখণ্ডের পর্যটনমন্ত্রী সৎপল মহারাজ। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করার পর আইসোলেশনে চলে যান রাওয়াত। তাঁর সঙ্গে আরও দুই মন্ত্রীও সেই বৈঠকে ছিলেন। ফলে তাঁরাও আইসোলেশনে যান। এরপর তিন কর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ২৬ অগাস্ট ফের আইসোলেশনে চলে যান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। সেপ্টেম্বরে তাঁর অফিসার অন স্পেশাল ডিউটিও করোনা আক্রান্ত হন। ফলে সেবারও আইসোলেশনে যান রাওয়াত। এবার তিনি নিজেই করোনা আক্রান্ত হলেন।

উত্তরাখণ্ডে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ হাজারেরও বেশি। মৃত্যু হয়েছে ১,৩৮৪ জনের। দেহরাদুনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি। হরিদ্বারে সংক্রমিত ১২,৯০৫ জন। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্যসচিব অমিত সিংহ নেগির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর আগে ৮ ডিসেম্বর করোনা আক্রান্ত হন স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল অমিতা উপ্রেতি।

এদিকে, দেশে করোনায় কমল দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ। একইসঙ্গে কমেছে দৈনিক সুস্থতা। দৈনিক মৃত্যুতে দেশে আজ দ্বিতীয় স্থানে বাংলা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। ওই রাজ্যে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের। তৃতীয় স্থানে আছে দিল্লি। রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে করোনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৮৯ জনের। মোট আক্রান্ত ৯৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪৪৭। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩৮ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৫৫।

গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২২ হাজার ৮৮৯। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ১০। তবে এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৯৫ লক্ষ ২০ হাজার ৮২৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার সংখ্যা ৩১ হাজার ৮৭। গতকাল দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ২৯১ জন। দেশে মৃত্যুর হার ১.৪৫ শতাংশ। সুস্থতার হার বেড়ে ৯৫.৪০ শতাংশ।