নয়াদিল্লি: ১৪০ বছর ধরে কফির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত পরিবার। কিন্তু তা সত্ত্বেও জীবনের শুরুতে পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে মোটেই আগ্রহ ছিল না ভি জি সিদ্ধার্থর। ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার ডিগ্রি লাভ করার পর তিনি মুম্বইয়ে বিনিয়োগকারী হিসেবে কাজ করার বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন। ১৯৮৪ সালে বেঙ্গালুরুতে নিজের সংস্থাও খোলেন তিনি। কর্ণাটকের চিকমাগালুরে একটি কফি বাগান কেনে সেই সংস্থা। এই সময় থেকেই পারিবারিক ব্যবসায় উৎসাহিত হতে শুরু করেন সিদ্ধার্থ। তিনি ১৯৯৩ সালে কফির ব্যবসা শুরু করেন। তাঁর সংস্থার আয় বিপুল হারে বাড়তে থাকে। জার্মানির একটি বিখ্যাত কফি চেইনের কর্ণধারের সঙ্গে একদিন কথা বলার পর নিজস্ব কফি চেইন চালু করার সিদ্ধান্ত নেন সিদ্ধার্থ। পরবর্তীকালে সেই সংস্থাই ভারতের সবচেয়ে বড় কফি চেইন হয়ে যায়। দেশ-বিদেশের ২০০টিরও বেশি শহরে ১,৭৫০টি আউটলেট রয়েছে সিদ্ধার্থর সংস্থার।


কফির ব্যবসার পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পেও বিনিয়োগ করেছিলেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণর জামাই সিদ্ধার্থ। তিনি আর্থিক ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে দেনার পরিমাণ বেড়ে চলায় তিনি প্রবল চাপে পড়ে যান। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ২০টি জায়গায় আয়কর দফতর তল্লাশি চালায়। সেই সময় থেকেই সিদ্ধার্থর সমস্যা শুরু হয়। তিনি দেনা মেটানোর লক্ষ্যে রিয়েল এস্টেট সংস্থা বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই হঠাৎ মৃত্যু হল এই ব্যবসায়ীর। তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে, চিঠিও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। সিদ্ধার্থ যে চিঠি লিখেছিলেন, তাতে আয়কর দফতরের চাপের কথা উল্লেখ করেছিলেন। আয়কর দফতর সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ব্যবসায়িক সমস্যার কথাও উল্লেখ করেন সিদ্ধার্থ। সে বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।