স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, প্রথমে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মী এবং অন্যান্য করোনা-যোদ্ধাদের। এরপর ৫০ বছরের বেশি বয়সিদের এবং ৫০ বছরের কম বয়স অথচ কোমর্বিডিটি রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীর থেকে সংক্রমণ দূর হওয়ার পর ১৪ দিন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত নয়। যে ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করবেন বিশেষজ্ঞরা, তাঁদের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হবে, কবে, কোথায় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যাঁরা ভ্যাকসিন নেবেন, তাঁদের আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন এবং ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে তথ্য যাচাই করার সময় সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া বাধ্যতামূলক। উপযুক্ত ব্যক্তিকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে কি না, সেটা দেখার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, ভারতে এখন তিনটি ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল পর্যায়ে আছে এবং ৬টি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। কোভিশিল্ড তৈরি করেছে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। কোভ্যাকসিন তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। জাইকভ-ডি তৈরি করেছে ক্যাডিলা হেলথকেয়ার লিমিটেড। এছাড়া রাশিয়ার স্পুটনিক ভি-ও ভারতেও তৈরি হচ্ছে। অন্যান্য যে ভ্যাকসিনগুলি নিয়ে পরীক্ষা চলছে, আগামীদিনে সেগুলিরও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হতে পারে।
কবে আসবে করোনা ভ্যাকসিন? এখনও মেলেনি স্পষ্ট উত্তর। তবে ভ্যাকসিনকে স্বাগত জানাতে তৈরি সারা দেশে। সবাই অধীর অপেক্ষায়। এরই মধ্যে সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে বলেছেন, সব ভারতবাসীকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিদিন প্রতিটি কেন্দ্র থেকে ১০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিন কীভাবে বিভিন্ন রাজ্যে বন্টন করা যায় তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।