নয়াদিল্লি: টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্টের (টেট) বৈধতা সাত বছর থেকে বাড়িয়ে আজীবন করা হচ্ছে। এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক।
এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘টেট উত্তীর্ণদের শংসাপত্রের বৈধতা ৭ বছর থেকে বাড়িয়ে আজীবন করা হচ্ছে। ২০১১ সাল থেকেই এই সুযোগ পাওয়া যাবে। ফলে ২০১১ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাঁদের শংসাপত্র সারা জীবনের জন্য বৈধ থাকবে। যাঁদের টেট উত্তীর্ণ হওয়ার পর সাত বছর পেরিয়ে গিয়েছে, তাঁদের নতুন করে শংসাপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসনকে।’
কেন্দ্রের এই নতুন ঘোষণার ফলে টেট উত্তীর্ণ হওয়ার সাত বছর পরেও যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁদের সামনে নতুন সুযোগ আসতে পারে। টেট উত্তীর্ণ হওয়ার পর সাত বছর পেরিয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের শংসাপত্রের বৈধতা শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাঁরা এবার নতুন করে শংসাপত্র পাবেন। ফলে অন্যান্য চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে তাঁরাও বিবেচিত হতে পারেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত ইতিবাচক হবে। যাঁরা শিক্ষকতাকেই পেশা করতে ইচ্ছুক, তাঁরা এবার নতুন সুযোগ পাবেন।
স্কুলে শিক্ষকতার সুযোগ পাওয়ার জন্য টেট উত্তীর্ণ হওয়া জরুরি। ২০১১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়, রাজ্য সরকারগুলি টেটের ব্যবস্থা করবে। টেট উত্তীর্ণদের শংসাপত্রের বৈধতা থাকবে সাত বছর পর্যন্ত। এবার এই নিয়মেই বদল আনল কেন্দ্র।
রাজ্য সরকারগুলির পাশাপাশি জাতীয় স্তরেও টেটের ব্যবস্থা রয়েছে। সেন্ট্রাল টিচার এলিজিবিলিটি টেস্টের ব্যবস্থা করে সিবিএসই এবং এই সিটেটের শংসাপত্র বিভিন্ন স্কুলে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈধ।
করোনা পরিস্থিতিতে সারা দেশেই কর্মসংস্থান নিয়ে সঙ্কট তৈরি হয়েছে। লকডাউনের জেরে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। টেট উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও কোনও স্কুলে চাকরি না পেয়ে অনেকেই অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। কিন্তু টেট নিয়ে কেন্দ্রের এই নতুন ঘোষণার ফলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের সামনে ফের আশার আলো।