রাঁচি: রাজ্যে করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিত পর্যালোচনার পর ঝাড়খণ্ড  সরকার মঙ্গলবার কার্যত লকডাউনের মেয়াদ ১০ জুন পর্যন্ত বাড়াল। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। গত ২২ এপ্রিল ঝাড়খণ্ডে এক সপ্তাহের জন্য কার্যত লকডাউন জারি হয়েছিল। এরপর থেকে চতুর্থবার এর মেয়াদ বাড়ানো হল।মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠকে কার্যত লকডাউনের মেয়াদ আরও একবার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে এই বিধিনিষেধের মেয়াদ ৩ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। রাজ্য সরকার বলেছে, ‘স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সপ্তাহ’ ১০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ১৫ জেলায় শর্তসাপেক্ষে সকাল ৬ টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে। 


তবে রাঁচি, জামশেদপুর, হাজারিবাগ, ধানবাদ সহ বাকি নয়টি জেলায় জামাকাপড়, গহনা, জুতোর দোকান ছাড়া বাকি দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই জেলাগুলিতে করোনার সংক্রমণ খুব বেশি। 
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যাতায়াতের নিয়মে কিছু ছাড় দেওয়া হচ্ছে। জেলাগুলির মধ্যে যাতায়াতের ক্ষেত্রে আর ই-পাস লাগবে না। 
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই ঝাড়খণ্ডে করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা ছিল ১৪। পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, রাজ্যের মৃতের সংখ্যা কমছে। রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,৯৯১। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৩,৩৭,৭৭৪।গত সোমবার ঝাড়খণ্ডে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৩। গত মাসে এটাই ছিল সবচেয়ে কম। 


নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে,  রাজ্য সচিবালয়ে ৩৩ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ হবে। দুপুর দুটো পর্যন্ত কাজ হবে বলে জানানো হয়েছে।
জরুরি পরিষেবার পাশাপাশি কৃষি, শিল্প ও খনির কাজ চলবে। সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স, স্টেডিয়াম, জিমনাসিয়াম, সুইমিং পুল, পার্ক বন্ধই থাকবে। স্কুল-কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে। 


মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন। রাজ্যগুলি ওষুধপত্র সংগ্রহ করতে বলা সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থি বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।