নয়াদিল্লি: ১৪ এপ্রিলের পর লকডাউন বাড়তে পারে, এমন সম্ভাবনা তো ছিলই। ১১ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বেশিরভাগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই লকডাউনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। তাই ৩০ এপ্রিল অবধি বাড়ানো হতে পারে লকডাউন, এমনটাই ধারণা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী লকডাউন ঘোষণা করলেন ৩ মে অবধি। কেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কেউ মজা করে বলছেন, ৩০ এপ্রিলের পর ১ মে, শনি ও রবিবারের ছুটি পার করে লকডাউন তোলা হচ্ছে।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবার এর পিছনে একেবারে অন্য কারণ দেখছে।
কোয়ারেন্টিন কথাটির উৎপত্তি ভেনেসিয়ান ভাষা থেকে। কোয়ারেন্টিকা শব্দ থেকেই এসেছে কোয়ারেন্টিন কথাটি। এই ভাষাতেই কথা বলেন ইতালির ভেনিসের মানুষ। কোয়ারেন্টিকা শব্দের অর্থ ৪০ দিন। এই ধারণা থেকেই মোট ৪০ দিন লকডাউনের পরিকল্পনা করা হয়ে থাকতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত। সরকার-ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি সূত্রেও তেমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে।
প্রথম ধাপে ২১ দিন, পরের ধাপে ১৯ দিন, মোট ৪০ দিনের লকডাউন, যখন মানুষকে হোম কোয়ারেন্টিন থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক আধিকারিকের কথায়, ভেনিসে একসময় প্লেগ মহামারীর আকার নেয়। সেই সময় কোনও জাহাজ নোঙর করলেই যাত্রীদের আগে কোয়ারেন্টিন করা হত।
এর আগে লকডাউন নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ‘সমালোচনামূলক’ প্রতিবেদনে কিছুটা ‘অসন্তুষ্ট’ হয়েই গত মাসে প্রধানমন্ত্রী এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, এই সময় নেতিবাচক প্রচার, গুজব ছড়ানো এড়িয়ে সরকার ও মানুষের মধ্যে সূত্র হোক সংবাদমাধ্যম।