ইম্ফল: তার নিজের হাতে পোঁতা দু’দুটো গাছ গ্রামের লোক কেটে ফেলেছে। কান্না থামছিল না ৯ বছরের ভ্যালেন্টিনার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তার কান্নার ছবি। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ গ্রিন মণিপুর মিশন প্রকল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করেছেন তাকে।


ভ্যালেন্টিনা এলাংবামের বাড়ি মণিপুরের কাকচিং জেলায়। বাবার নাম এলাংবাম প্রেমকুমার, মা এলাংবাম শাইয়া। স্থানীয় আমুতোম্বি ডিভাইন লাইফ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে সে। প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর ধারে দুটো গুলমোহর গাছ পুঁতেছিল ভ্যালেন্টিনা। কিন্তু নদীর ধার পরিষ্কার করতে গিয়ে তার গাছদুটো কেটে ফেলা হয়েছে। আর তাই দেখে ভ্যালেন্টিনার সে কী কান্না!

কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করতে সে বলেছে, আমি গাছদুটো বসিয়েছিলাম, আমি ওদের ভালবাসতাম। এভাবে ওদের কেটে ফেলতে দেখে বড্ড কষ্ট হচ্ছে।


ছোট্ট মেয়ের কান্না সোশ্যাল মিডিয়া পৌঁছে দিয়েছে দেশের ঘরে ঘরে। দেখেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিন মণিপুর প্রকল্পে তাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করেছেন।

ভ্যালেন্টিনার মা জানিয়েছেন, মেয়ে এইভাবে সম্মানিত হওয়ায় তাঁরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। মা হিসেবে তার জন্য তিনি গর্বিত। কিন্তু মেয়ের এই সংবেদনশীলতা এতদিন বুঝতে না পারায় তাঁর লজ্জা হচ্ছে। তার প্রতিটি কাজে পরিপূর্ণ সমর্থনের শপথ নিয়েছেন তাঁরা।

রাজ্যের গ্রিন অ্যাম্বাসাডর হিসেবে ভ্যালেন্টিনা এখন থেকে সরকারি নানা বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবে, থাকবে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও বন মহোৎসবের অনুষ্ঠানে। গাছ লাগানো সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞাপন ও প্রচারেও দেখা যাবে তাকে। এ জন্য সরকার তাকে পারিতোষিক দেবে, দেবে যাতায়াত ও থাকা খাওয়ার খরচ।