পুণে: ঘটনাস্থল সেই পুণের গাহুঞ্জেতে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থার স্টেডিয়াম। ফারাকটা যদিও আড়াই বছরের। যার মধ্যে চোটের জন্য প্রায় ২০ মাস জাতীয় দলের বাইরেই ছিলেন।

তবে ঋদ্ধিমান সাহা ফের প্রমাণ করে দিলেন, কেন তাঁকে দেশের তথা বিশ্বের সেরা উইকেটকিপার হিসাবে মেনে নেন ক্রিকেটবোদ্ধারাও।

শনিবার পুণেতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন সকালে উমেশ যাদবের বলে থিউনিস ডি ব্রুইনের ক্যাচ অবিশ্বাস্যভাবে ধরলেন ঋদ্ধিমান। উমেশের বলে স্লিপে খোঁচা দিয়েছিলেন ডি ব্রুইন। প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো চেতেশ্বর পূজারা বল তালুবন্দি করার জন্য প্রায় তৈরি। আচমকাই তিনি উপলব্ধি করলেন, ডানদিকে শরীর শূন্যে ভাসিয়ে, কার্যত বাজপাখির ঢঙে দুহাতে বল গ্লাভসবন্দি করলেন ঋদ্ধিমান। পূজারার চোখেমুখেও তখন বিস্ময়। মাঠের মধ্যে নিমেষে শুরু উৎসব। ছুটে এসে জড়িয়ে ধরে বঙ্গ উইকেটকিপারকে অভিনন্দন জানালেন আর অশ্বিন, রোহিত শর্মা-রা।




শনিবার যেন বঙ্গ উইকেটকিপারের কেরিয়ারে এক অদ্ভূত সমাপতন রচনা করল। আড়াই বছর আগে উমেশ যাদবের বলেই অস্ট্রেলিয়ার স্টিফেন ও’কিফের ক্যাচ নিয়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান। ক্রিকেটবিশ্বে তাঁর নামকরণই হয়ে গিয়েছিল ‘সুপারম্যান’। রোহিত শর্মা নাম দিয়েছিলেন, ‘ফ্লাইং সাহা’।

মাঝের আড়াই বছরে অনেক চড়াই-উৎরাই দেখেছেন বঙ্গ উইকেটকিপার। চোটের জন্য জাতীয় দল থেকে বাদ। পরে চোট সারিয়ে ফিরেও লড়াই করতে হয়েছে প্রথম একাদশে অন্তর্ভুক্তির জন্য। তাঁর পরিবর্তে দলে এসেছিলেন ঋষভ পন্থ। যদিও ধারাবাহিকতার অভাবে বাদ পড়েছেন দিল্লির ক্রিকেটার। তারপরই চলতি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ঋদ্ধির প্রত্যাবর্তন। আর ফিরেই উইকেটের পিছনে দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছেন বাংলার তারকা ক্রিকেটার।

শনিবার একটি দুরন্ত ক্যাচ নেন বিরাট কোহলিও। মহম্মদ শামির বলে ফিরে যান নৈশপ্রহরী এনরিক নর্তজে। চতুর্থ স্লিপে দাঁড়ানো বিরাট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ক্যাচ নেন। তবু, শিরোনামে থেকে গেল ঋদ্ধির গ্লাভসওয়ার্কই।