রাঁচি: করোনা টিকা নিতেই হবে, না হলে দেওয়া হবে না মাইনে। ঝাড়খণ্ডের রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রতি এমনই একুশে আইন জারি করেছে রাজ্য সরকার। কোডার্মা জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের করোনা টিকা সংক্রান্ত এই নির্দেশ জারি করার পরেও বিতর্কের জেরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

করোনা থেকে বাঁচতেই হবে, না হলে ছাড়বে না রাজ্য সরকার। সে জন্য জোর করে টিকা দেওয়া হবে সরকারি কর্মীদের। ১৬ তারিখ এমনই নির্দেশ জারি করেন কোডার্মা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জেলা স্বাস্থ্য সমিতির মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক পার্বতীকুমার নাগ ও জেলা প্রতিরক্ষণ আধিকারিক ও এসিএমও অভয় ভূষণ প্রসাদ। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের প্রতি জারি করা এই নির্দেশে বলা হয়, যে সরকারি কর্মী করোনা জীবাণুর টিকা নেননি, তাঁরা যত শিগগির সম্ভব এই টিকা নিয়ে নিন। যদি তাঁরা তা না করেন, তবে আগামী নির্দেশ আসা পর্যন্ত বেতন পাবেন না তাঁরা। টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র জমা করার পরেই মাইনে মিটিয়ে দেওয়া হবে।

এই নির্দেশ জারি হওয়ার পরেই সরকারি কর্মীরা এর বিরোধিতা শুরু করেন। হইচই দেখে তড়িঘড়ি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় নির্দেশ। কোডার্মা স্বাস্থ্য বিভাগের অনেক কর্মী জানিয়েছেন, তাঁরা এই নির্দেশ পেয়েছেন, এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে অত্যন্ত অসন্তোষ রয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্য স্বাস্থ্য সচিব নীতিন মদন কুলকার্নি জানিয়েছেন, এই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই নির্দেশ জারি করার ব্যাপারে কোনও কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে চাননি। জানা গিয়েছে, টিকাকরণের প্রথম দিন কোডার্মা জেলার দুটি কেন্দ্রে একশ করে মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট ছিল। কিন্তু তত সংখ্যায় লোক হয়নি। তাই টার্গেট ছোঁয়ার জন্য এই নির্দেশ জারি হয়। কিন্তু নির্দেশের পরেও ২০০-র জায়গায় মাত্র ১৩৯ জন করোনা টিকা নিয়েছেন।