পটনায় তাঁদের বাসভবনের বাইরে জমেছে ভিড়। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, সুশান্তর বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। তিনি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।
রবিবার নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সুশান্তকে। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে এভাবে সুশান্তর জীবনে দাঁড়িয়ে টেনে দেনে দেওয়ার খবরে স্তম্ভিত, শোহবিহ্বল, হতচকিত দেশের চলচ্চিত্র জগত।
সুধান্ত সিংহর পটনার বাসভবনের কেয়ারটেকার লক্ষ্মী দেবী বলেছেন, টেলিফোন মারফত সুশান্তর মৃত্যুর খবর আসে। সুশান্তের এক দিদি চণ্ডিগড় থেকে পটনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
বিহারের পূর্ণিয়া জেলায় ভদরা কোঠির মালহিদা থেকে উঠে এসেছিলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। শেষবার গ্রামে এসে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন, এ কথা বিশ্বাস করাটাও কঠিন হচ্ছে এখনকার লোকজনদের।
।
কয়েক মাস আগে খাগারিয়া জেলায় মামার বাড়িতে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন সুশান্ত।
পটনাতেই ছোটবেলা কেটেছে সুশান্তর। রাজীব নগরের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ছোট থেকেই ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসতেন সুশান্ত। বন্ধুদের সঙ্গে গলির ক্রিকেটে মেতে উঠতেন তিনি।
লক্ষ্মী দেবী জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে বাবার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছিলেন সুশান্ত। বলেছিলেন, পটনায় এসে বাবাকে কোনও পাহাড়ে বেড়াতে নিয়ে যাবেন। কিন্তু সুশান্ত আসেননি, এল তাঁর মৃত্যু সংবাদ।