ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রিভেনশন অব লিঞ্চিং বিলে বলা হয়েছে, গণপ্রহারে কারও মৃত্যু হলে বা খুনের উদ্দেশে মারা হলে, দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে সর্বোচ্চ মৃত্যদণ্ড পর্যন্ত সাজার সংস্থান রয়েছে বিলে। সঙ্গে ১ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে।
গণপ্রহারে কেউ আহত হলে দোষীদের ৩ বছর পর্যন্ত জেল বা ৫ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে।অথবা একসঙ্গে দুটোই কার্যকর হবে।
গণপিটুনিতে কারও আঘাত গুরুতর হলে দোষীদের ১০ বছর কারাদণ্ড থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সংস্থান থাকছে। অথবা, ২৫ হাজার টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হবে। এক্ষেত্রেও একসঙ্গে দুটো শাস্তিরও বিধান থাকছে।
বিলের বিষয়বস্তু নিয়ে কোনও দলই বিরোধিতা করেনি। ধ্বনিভোটে বিধানসভায় পাস হয়ে যায় গণপ্রহার বিরোধী বিল।
বাম ও কংগ্রেসের দাবি, অপরাধী যাতে কোনওভাবেই ছাড়া না পায়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।
বিজেপির বক্তব্য, কোনওভাবেই এই বিলকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা চলবে না।
তবে গণপিটুনি রোধে সরকার যে দিন বিধানসভায় কড়া বিল পাস করাল, সেদিনই দুই জেলায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটল।দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে ছাত্রীকে কটূক্তির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয়রা। জলপাইগুড়িতেও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ব্যাপক মারধর করা হয়।