নয়াদিল্লি: শেষমুহূর্তেও নির্ভয়া মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসি আটকানোর জন্যে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী এ পি সিংহ। তিনি দাবি করেন, দ্রুত সাজা কার্যকর করতে গিয়ে ন্যায়বিচারের সঙ্গে আপস করা হচ্ছে। তবে বিচারপতি মনমোহন ও বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার ডিভিশন বেঞ্চ সেই দাবি খারিজ করে দেয়। আদালত স্পষ্ট বলে, সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবীর আর্জিতে কোনও সারবত্তা নেই। তিনি যে কথা বলছেন, সেটি আইন অনুসারে গ্রাহ্য নয়। তাই ফাঁসি হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে এই আর্জি মানা হবে না।


কাল ভোর সাড়ে পাঁচটায় তিহাড় জেলে ফাঁসি হওয়ার কথা। কিন্তু এই ফাঁসির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অপরাধীদের আইনজীবী। তবে আদালত তাঁর উদ্দেশে বলে, ‘এই নিয়ে চতুর্থবার মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এগুলির পবিত্রতা বজায় রাখুন। আপনার মক্কেলের ঈশ্বরের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এগিয়ে আসছে। সময় নষ্ট করবেন না। আর ৪-৫ ঘণ্টা বাকি আছে। শেষমুহূর্তে আপনি যদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন না করতে পারেন, তাহলে আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারব না। যারা ঠিক সময়ে কাজ করে, তাদেরই সাহায্য করে আইন। ২০২০ সালের ৪ মার্চের আগে আড়াই বছর ধরে আপনি কী করছিলেন? আপনি আমাদের দোষারোপ করছেন? আপনি কী বলতে চাইছেন আমরা বুঝতে পারছি না।’

সাজাপ্রাপ্তদের হয়ে অন্য এক আইনজীবী শামস খোয়াজা সওয়াল করতে গিয়ে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে বলেন, যৌন অপরাধীরা ক্ষমার যোগ্য নয়। প্রথম ক্ষমার আর্জির আগেই তিনি নিজের মতামত স্পষ্ট করে দেন।’

খোয়াজার এই সওয়াল খারিজ করে দিয়ে আদালত বলে, ‘এটা বিতর্কের সময় নয়। এর আগে এই বিষয়গুলি উত্থাপন করা হয়নি। আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন, কেন এই বিষয়গুলি উত্থাপন করেননি।’