কলকাতা: করোনার জেরে এবার ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার বেলা ৩টেয় নবান্ন সভাঘরে বৈঠক করছেন তিনি। আজ বৈঠক ৪ জেলা - হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে। কাল আরও ৫ জেলার আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক। জেলাগুলি হল দুই বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া।


নবান্নে সোমবারের বৈঠকে মমতা বলেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের পরে মেরামতি হয়েছে। তারপরেও বাঁধ ভাঙছে। তাহলে কি তাড়াহুড়োয় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি?’ ঝাড়খণ্ড থেকে ডিভিসির জল ছাড়লে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছেন মমতা। বলেছেন, ‘ডিভিসি জল ছাড়লে আগে থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। হাসপাতালেও জল ঢোকার আশঙ্কা আছে।’

মমতা বলেন, ‘ত্রাণের টাকা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের দিয়ে দিতে হবে। নতুন তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে ৩ লক্ষ পুকুর কাটা হয়েছে। সব রাজ্যে বন্যার সমস্যা নেই, বাংলায় আছে। দীর্ঘদিন ড্রেজিং করা হয়নি, করলে এই সমস্যা হত না। যেসব জেলায় বন্যার সম্ভাবনা, সেখানে ঘুরে দেখতে হবে।’

গোটা রাজ্যের রাস্তাঘাটের হাল নিয়ে সম্প্রতি তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। বর্ষা নামতেই রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। যা নিয়ে বিরক্ত মমতাও। বলেছেন, ‘কোন রাস্তা খারাপ, কোথায় জল জমছে, তা দেখতে হবে। নবান্নে আসার পথে দেখলাম একটা রাস্তায় পিচ উঠে গেছে। বলতেই বলা হচ্ছে, রাজ্যকে ২০০ কোটি টাকা দিতে হবে। অথচ এইচআরবিসি টোল পায়। তবু কেন মেরামতি করা হচ্ছে না?’

একশো দিনের কাজ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘১০০ দিনের কাজ মোটামুটি ভাল হচ্ছে। বৃষ্টিতে মিনাখাঁ, সন্দেশখালিতে জল জমেছে। হুগলির পারফরম্যান্স সবচেয়ে খারাপ, কেন এমন হল?’ যোগ করেন, ‘উঃ ২৪ পরগনা, হাওড়ায় করোনায় মৃত্যুর হার বেশি। মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশি পরীক্ষা করতে হবে। মাস্ক পরা নিয়ে বেশি করে প্রচার চালাতে হবে।’