WB Corona LIVE Updates: রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১৮ হাজারেরও বেশি
গত বেশ কয়েকদিনের ধারা বজায় রেখে করোনার ভয়াবহ চিত্র অব্যাহত কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণায়। এই দুই জেলাতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৩ হাজার ৯৭৩ ও ৩ হাজার ৯৮২ জন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন বলছে, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন কলকাতা ২৫ ও উত্তর ২৪ পরগণায় ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১৮,৪৩১ জন। মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯,৩৫,০৬৬। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জনের। এই নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১,৯৬৪।
হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন নেই। দ্রুত অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাবিতে আজ নদিয়ার কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে অবস্থান বিক্ষোভ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যদিও হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারের দাবি, অক্সিজেন আছে। আজ রাতের মধ্যে আরও বেশি পরিমাণে অক্সিজেন এসে যাবে।
চিন থেকে কলকাতায় এল ৪৩০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। পৌঁছে গেল কলকাতা পুরসভা, একাধিক বেসরকারি সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে। গত সপ্তাহেও রাজ্যে আসে ১ হাজার কনসেনট্রেটর। সব মিলিয়ে এদেশে প্রায় দু’হাজার অক্সিজেন কনসেনট্রেটর প্রতিবেশী দেশ।
শুরু হয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের কালোবাজারি। অক্সিজেন কালোবাজারির অভিযোগে উত্তরপাড়া থেকে গ্রেফতার এক ব্যবসায়ী। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি খালি ও ভর্তি সিলিন্ডার।
বনগাঁয় বাড়িতে ১২ ঘণ্টা পড়ে করোনা আক্রান্ত মৃতের দেহ। ৬৬ বছরের এক বৃদ্ধ করোনা আক্রান্ত হন বলে দাবি। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বেড পাওয়া যায়নি বলে পরিবারের অভিযোগ। হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে আনার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। তারপর থেকে বাড়িতে পড়ে মৃতদেহ। পঞ্চায়েতে যোগাযোগ করেও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পদ্ধতিগত কারণেই দেরি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভিড় এড়াতে নিজের এলাকায় নজর রাখুক পুজো কমিটিগুলি’
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, করোনা আবহে আগামী ১৫ দিনের জন্য সবাইকে সতর্ক করছি। বাসে ভিড় করবেন না।লোকাল ট্রেন বাতিলের ফলে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়বেন। বিনামূল্যে রেশন যাতে সবাই পায় জেলাশাসকদের দেখতে বলা হয়েছে।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,’করোনা মোকাবিলায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডায়মন্ডহারবার ও কোচবিহারে পিএসএ প্ল্যান্ট বসেছে। মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন প্ল্যান্ট। এর জন্য অনুমতি নিতে হবে না নবান্নের। করোনা মোকাবিলায় নার্সিংহোম ও হাসপাতালে ৪০ শতাংশ বেড বাড়াতে অনুমতি। জুট শিল্পে ১ শিফটে ৩০ শতাংশ কর্মী কাজ করবে।’
কেন্দ্রীয় দল না পাঠিয়ে ভ্যাকসিন পাঠাক কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় দলের সফরকে কটাক্ষ ফিরহাদ হাকিমের।
ভ্যাকসিন পেতে শতাধিক মানুষের লাইন ঘিরে বিশৃঙ্খলা পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে দ্বিতীয় ডোজ না থাকায় ভোগান্তিতে কয়েকশো মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়ায় আসানসোল ইএসআই হাসপাতালে চলে বিক্ষোভ।
বেলাগাম করোনা। কমেছে মেট্রোর সংখ্যা। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, আজ থেকে সোম থেকে শুক্র, প্রতিদিন দমদম-নিউ গড়িয়া রুটে চলবে ২১৬টা মেট্রো। অন্যদিকে, নিউ গড়িয়া-দক্ষিণেশ্বর রুটে চলবে ১৪৯টা মেট্রো। প্রান্তিক স্টেশন থেকে প্রথম মেট্রো ছাড়ে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে। তার পরিবর্তে আজ থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় চলবে প্রথম মেট্রো। শেষ মেট্রোর সময়সূচিও ১০ মিনিট এগিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণেশ্বর-নিউ গড়িয়া রুটে শেষ মেট্রো রাত ৮টা ৫৮-র পরিবর্তে ছাড়বে ৮টা ৪৮ মিনিটে। অন্যদিকে, নিউ গড়িয়া-দক্ষিণেশ্বর রুটে ৯টা ১০-এর পরিবর্তে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ৯টায়। দমদম-নিউ গড়িয়া রুটেও শেষ মেট্রো রাত ৯টায় ছাড়বে। রবিবারেও মেট্রোর সময়সূচিতে পরিবর্তন হচ্ছে। খবর মেট্রো রেল সূত্রে
করোনা প্রতিরোধে রেমডেসিভির ও টোসিলিজুমাব ব্যবহার নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে সরাসরি ওষুধ সরবরাহ করবে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। কতটা পরিমাণ ওষুধ লাগবে, তা নির্ধারিত হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সিসিইউ বেড ও রোগীর সংখ্যার নিরিখে। পাশাপাশি, ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি বা কোনও চিকিত্সককে ব্যক্তিগতভাবে রেমডেসিভির ও টোসিলিজুমাব যেন সরবরাহ না করে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। করোনা প্রতিরোধে এই দুটি ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার রুখতেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
শুধু কলকাতা শহর নয়, সকাল ১০টার পর খোলা জেলার বিভিন্ন বাজারও। ইংরেজবাজারের রথবাড়ি এলাকায় এমনই খোলা থাকা বাজার সকাল ১০টার পর বন্ধ করল পুলিশ।
আজ থেকে লোকাল ট্রেন বন্ধ। রেল কর্মীদের জন্য চালানো হচ্ছে স্পেশাল ট্রেন। সেই ট্রেনে সাধারণ মানুষ ওঠা বন্ধ করতে বিশেষ অভিযান চালাল রেল পুলিশ। মাইকে সতর্কতামূলক প্রচার চালানোর পাশাপাশি, যাত্রীদের স্টেশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।
শুধু ট্রেন বা সড়কপথ নয়, লোকাল বা বাস কম চলায় আজ তুলনায় অনেকটা ফাঁকা হাওড়া ফেরিঘাট। যাত্রীর সংখ্যা হাতে গোনা।
সকাল ১০টার পর খোলা চক্রবেড়িয়া বাজারও। সেখানেও বাজার বন্ধ করতে বলছে পুলিশ।
সকাল ১০টার পরেও খোলা গড়িয়াহাট বাজার। মাইকে প্রচার চালিয়ে বাজার বন্ধের নির্দেশ পুলিশের। সকাল ১০টার পর খোলা চক্রবেড়িয়া বাজারও। সেখানেও বাজার বন্ধ করতে বলছে পুলিশ।
শুনসান হাওড়া স্টেশন। প্রতিদিন অফিস টাইমে ভিড় থাকলেও, আজকের ছবিটা আলাদা। শুধুমাত্র রেল কর্মীদের জন্য স্পেশাল ট্রেন রয়েছে। হাওড়া স্টেশনের অধিকাংশ গেট বন্ধ। স্টেশন চত্বরে কড়া নিরাপত্তা। মাস্ক পরে, কোভিড বিধি মেনে স্টেশনে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
করোনা আবহে ৫০ শতাংশ কমানো হয়েছে বাসের সংখ্যা। গড়িয়ার কামালগাজি মোড়ে বাসের অপেক্ষায় দীর্ঘ লাইন যাত্রীদের। ট্রেন না থাকায় বাসেও ভিড়। এই পরিস্থিতিতে বাসে দূরত্ব বিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না বলে বাস যাত্রীদের দাবি। বারুইপুরের প্রায় প্রত্যেকটা বাস স্ট্যান্ডে লম্বা লাইন। ভিড়ে ঠাসা বাস। করোনা আবহে উধাও দূরত্ব বিধি।
সকাল ৭টা ২০-তে দমদম স্টেশন থেকে ছাড়ে প্রথম মেট্রো। আজ প্রথম মেট্রো ছাড়ে সাড়ে ৭টায়। মিনিট দশেক দেরিতে ছাড়লেও ভিড় নেই। স্টেশন চত্বর সকালে প্রায় জনশূন্য। লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকার প্রভাব পড়েছে মেট্রো চলাচলে। মেট্রো স্টেশন তাই অনেকটাই ফাঁকা।
দু’সপ্তাহের জন্য লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। অন্যদিনের তুলনায় আজ একেবারেই ফাঁকা শিয়ালদা স্টেশন চত্বর। কাল রাতেই চলে গিয়েছে শেষ লোকাল। এখনও পর্যন্ত দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। অন্যদিকে, অফিস বা জরুরি জায়গায় পৌঁছতে অনেকেই কোনও স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন থামলে তাতে উঠে পড়ছেন।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার পাশাপাশি সংক্রমণের চোখরাঙানি ক্রমশ বাড়ছে হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়ার মতো জেলাতেও। বুধবারের পরিংখ্যাণ অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় হাওড়ায় ৯৯৪ জন, হুগলিতে ৯৮৬ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ৯৯৩ জন, পশ্চিম বর্ধমানে ৮৮৭ জন ও নদিয়ায় ৮৬৯ জন নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। এই সময় ব্যবধানে নতুন করে ৯২৬ জন অ্যাকটিভ রোগী বাড়ায় পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ২১ হাজার ৮৭২ জন।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত। আগের সব রেকর্ড ভেঙে দৈনিক সংক্রমণ ছাড়িয়ে গেল ১৮ হাজারের গণ্ডি! বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী ,গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত ১৮ হাজার ১০২ জন। মৃতের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গিয়েছে।
গত বেশ কয়েকদিনের ধারা বজায় রেখে করোনার ভয়াবহ চিত্র অব্যাহত কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণায়। এই দুই জেলাতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৩ হাজার ৯৭৩ ও ৩ হাজার ৯৮২ জন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন বলছে, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন কলকাতা ২৫ ও উত্তর ২৪ পরগণায় ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
করোনা কালের কালো মেঘে ঢাকা এই দুঃসময়ে অবশ্য কিছুটা সোনালি রেখাও রয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মারণ ভাইরাসের কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ০৭৩ জন। যাও রেকর্ড। এর ফলে এই মুহূর্তে বঙ্গে করোনাজয়ীদের শতকরা গিয়ে দাঁড়াল ৮৫. ৪১ শতাংশে।
বুধবার রাজ্যে বাড়তে থাকা করোনা রুখতে আংশিক লকডাউনে আরও কড়াকড়ির সিদ্ধান্ত জানিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ । গণ পরিবহনের বাস ও মেট্রো সংখ্যাও অর্ধেক করে দেওয়া হচ্ছে। সরকারি অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ হাজিরায় কাজ ও বেসরকারি অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।
বিমানে চড়ে কাউকে রাজ্যে প্রবেশ করতে হলে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে নেগেটিভ করোনা রিপোর্ট। সকাল ৭টা থেকে ১০ ও বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত বাজার খোলা থাকার কথা জানানো হলেও আগের নির্দেশ মতোই রেস্তোরাঁ, শপিং মল, বার, স্পা বন্ধই থাকছে। হোম ডেলিভারি, ওষুধ ও মুদিখানার দোকান অবশ্য লকডাউনের আওতার বাইরেই থাকছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -