কলকাতা: বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা বামেদের। রুখতে পুলিশের লাঠিচার্জ, জলকামান। পাল্টা পুলিশের দিকেও ইটবৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে। আহত বেশ কয়েকজন বামকর্মী। আহত বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও। ধর্মতলায় বাধা পেয়ে মৌলালিতে অবরোধ, বিক্ষোভ দেখায় বাম ছাত্র যুব সংগঠন। লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভ হঠায় পুলিশ।


 


পড়ুয়াদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী। ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল রাজ্যে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট। সমর্থন করবে কংগ্রেস।


 


বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুজন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা শুধু আজকের আক্রমণের জন্য নয়। আমাদের ওপর প্রত্যেকদিন আক্রমণ করা হচ্ছে। প্রত্যেকদিন পড়ুয়ারা আক্রান্ত হচ্ছে। গ্রুপ ডি পরীক্ষা দিয়েছে, পাশ করেছে। তাদের ওপরও নির্যাতন। প্রত্যেকের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এই লুঠের বিরুদ্ধে ছাত্র যুবরা সঠিক দাবি করেছিল। আমি ওদের সেলাম জানাই। ওরা যে কথা বলেছিল যাহা নবান্ন, তাহা ছাপ্পান্ন, ঠিক বলেছিল। আজ তা পরিষ্কার হয়ে গেল। দিল্লিতে কার্যত ট্রেঞ্চ খুঁড়ে কৃষকদের আটকাতে হয়। কলকাতায় রাস্তার ওপরে, রাস্তা খুঁড়ে ব্য়ারিকেড তৈরি করে ছাত্রদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে, পুলিশের কাছে এর চেয়ে লজ্জার কিছু হয় না।’


 


সুজন আরও বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে ভোট শব্দকে যুক্ত করতে চাইছি না। তবে মানুষ বোকা নয়। সবাই সব কিছু বুঝে গিয়েছে। যেন নবান্নর দম্ভ, তেমনই ছাপ্পান্ন ইঞ্চির দম্ভ। মানুষই এই দম্ভ ভাঙবে।’ বৃহস্পতিবারের ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কিছু পড়ুয়া। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম, এনআরএস-সহ শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁরা ভর্তি রয়েছেন। সুজন বলেন, ‘আহতদের দেখে এলাম। ছেলেগুলোকে আমি চিনি। দেখে আসুন কীভাবে মেরেছে। ওইভাবে কেউ মারে কখনও! এভাবে হয়? অন্তত চারশো থেকে পাঁচশো ছেলেমেয়ে আহত। জনা ২৫ গ্রেফতার হয়েছে। ও অ্যারেস্ট ওরা বুঝে নেবে। ছাত্রদের হিম্মত কম নয়। তবে রাজ্যের মানুষের কাছে আমাদের আবেদন, যেভাবে চাকরি লুঠ করা হচ্ছে, প্রতারণা করা হচ্ছে, জীবন থেকে বছরগুলো কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, মারধর করা হচ্ছে, লক আপে রোজ ভরা হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করতে না পারলে নবান্ন-ছাপ্পান্ন মিলে বাংলার সর্বনাশ করবে।’